ভৌগলিক নির্দেশনা আইনের প্রনয়ণের সময় এখনই —-কপিরাইট ফোরামের সেমিনারে বক্তরা

ঢাকা / ২২ ডিসেম্বর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)——
বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণগুলোর স্বত্ত রক্ষা করতে হলে এখনই ভৌগলিক নির্দেশনা আইন প্রণয়ন করতে হবে। ঢাকাইয়া জামদানি, নকশিকাঁথা, রাজশাহীর ফজলি আমসহ বাংলাদেশি অনেক ঐতিহ্যবাহী পণ্যের ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে কোনো নিবন্ধন নেই।

শনিবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘ভৌগলিক নির্দেশনা আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ কপিরাইট অ্যান্ড আইপি ফোরাম।

সেমিনারে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সচিব ফেরদৌস আরা বেগম, শিল্পকলা একাডেমীর সচিব মনজুরুর রহমান, সঙ্গীত শিল্পী মাকসুদ।

ভৌগলিক নির্দেশনা আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কপিরাইট অ্যান্ড আইপি ফোরামের প্রধান নির্বাহী এবিএম হামিদুল মিজবাহ। প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত খাদ্য এবং অখাদ্যপণ্য মিলিয়ে মোট ৭৩টি পণ্যের তালিকা তৈরি করেছে। যেগুলো ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার দাবি রাখে। এদের মধ্যে আছে মাছ, ফলমূল, মিষ্টি, সবজি ও কৃষিপণ্যসহ মোট ৫২টি খাদ্যপণ্য। আর বাকি ২১টি অখাদ্য পণ্যের মধ্যে ঢাকাই জামদানি এবং নকশিকাঁথাসহ বিভিন্ন পণ্য অন্তর্ভুক্ত আছে। বাংলাদেশে ভৌগোলিক নির্দেশনামূলক গুরুত্বপূর্ণ আইনটি না থাকার কারণে এসব পণ্যের কোনোটিকেই ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত করে সুরক্ষা প্রদান করা সম্ভব হয়নি। প্রস্তাবিত ভৌগোলিক নির্দেশনা আইনটি গত ২০০৩ সাল থেকে খসড়া অবস্থায় পড়ে আছে। এদেশের পণ্যগুলোকে আইনি সুরক্ষা দিতে হলে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে পণ্যগুলোকে নিবন্ধিত করতে হবে, যা একটি যথাযথ আইনি কাঠামোর অনুপস্থিতিতে কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ, এমএমসি’র কমিউনিকেশন অফিসার আব্দুল্লাহ হাসান প্রমুখ। দিনব্যাপী সেমিনারে উন্নয়নকর্মী, শিল্পী, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন।

Check Also

করোনাযুদ্ধে প্রথম জীবন উৎসর্গকারী কনস্টেবল জসিমকে বুড়িচংয়ে সমাহিত

বুড়িচং প্রতিনিধিঃ করোনাযুদ্ধে পুলিশে প্রথম জীবন উৎসর্গকারী কনস্টেবল জসিম উদ্দিনকে (৩৯) কুমিল্লায় সমাহিত করা হয়েছে। ...

Leave a Reply