সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) / ১১ ডিসেম্বর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)——-
নিজ দলের নেতা খুনের দায়ে পলাতক সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ ছয় নেতাকে ধরিয়ে দিলে ১২ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার লাগানো হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত নেতারা হলেন- সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের (সদ্য বহিস্কৃত) সভাপতি আবদুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, যুগ্ম সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী, আওয়ামীলীগ নেতা ইদ্রিস আলী ও সদর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমত আলী।
উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় দলীয় কোন্দলের জের ধরে নিজ দলের লোকদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ.কে.এম ইকবাল আজাদ। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আজাদ বাদী হয়ে আবদুল হালিম, রফিক উদ্দিন ঠাকুর, আবদুল জব্বার, মাহফুজ আলীসহ আওয়ামীলীগের ২২ নেতা-কর্মীকে আসামি করে সরাইল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি ও নিহত ইকবাল আজাদের ভাগিনা অ্যাডভোকেট জয়নাল উদ্দিন বলেন, ইকবাল আজাদ খুনের দেড় মাসেও আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় বাদীসহ নিহত নেতার পরিবার চরম আতঙ্কে রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে সরাইলে বিক্ষোভ-সমাবেশ অব্যাহত আছে। আসামিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মূখীন করার উদ্দেশ্যেই এ পুরস্কার ঘোষণা করে বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার লাগানো হয়েছে।
মামলার বাদী এ.কে.এম জাহাঙ্গীর আজাদ বলেন, মূলত আসামিদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর লক্ষ্যেই এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, মামলায় এজাহারভূক্ত আসামি মোকারম হোসেন সোহেল এবং ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে শরীফ, নাসির আলিফ ও এনায়েতসহ সাতজনকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
(আরিফুল ইসলাম সুমন, স্টাফ রিপোর্টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া)