ব্রাহ্মণবাড়িয়া / ৮ ডিসেম্বর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)———
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ইটভাটায় (ব্রিকফিল্ডে) ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। একইদিন রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরদিকে ডাকাতি করতে না পেরে একটি প্রাইভেটকারে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ডাকাতরা। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার বিভিন্নস্থানে এসব ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- সরাইল সদরের কুট্টাপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মো. রাসেল, শফিকুল ইসলামের ছেলে আল-আমিন, মজিদ মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া ও আফরোজ মিয়ার ছেলে রাকিব। তাদের কাছ থেকে একটি বড় ছোরা ও একটি রড উদ্ধার করা হয়।
এদিকে মহাসড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের হাতে আটক চারজনকে ছাড়িয়ে নিতে গতকাল শনিবার দিনভর থানায় নানা চেষ্টা তদবির করেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী কয়েকজন নেতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরাইল থানার একাধিক দারোগা ক্ষোভের সাথে বলেন, চোর ডাকাতদের সাথে কোন আপোষ নেই। সম্প্রতি ডাকাতদের উৎপাত বেড়েছে। আমরা (পুলিশ) নানা কৌশলে তাদের গ্রেফতার করবো। পরে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নেতারা তাদের ছাড়িয়ে নিতে আসবে এটা কেমন কথা। শনিবার সকালে থানায় তদবির করতে আসা অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাজী ইকবাল হোসেন বলেন, আটক চারজনের মধ্যে সোহেল মিয়া একজন ভালো ছেলে। তার গাড়ির ব্যবসা আছে। কয়েকদিন আগে তার একটি সিএনজি অটোরিকশা হারিয়ে যায়। শুক্রবার রাতে গাড়িটির সন্ধান করতে গিয়ে সোহেল পুলিশের হাতে আটক হয়। আমরা (নেতারা) মূলত সোহেলকে ছাড়িয়ে আনার চেষ্টা করেছিলাম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের রাজামারিয়াকান্দি এলাকার সুবর্ণ ব্রিকফিল্ডে একদল ডাকাত হানা দেয়। তারা ইটখলার শ্রমিকদের মারধর করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নেয়।
এদিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ডাকাতির জন্য মাইক্রোবাসে করে পাঁচ যুবক রওয়ানা হলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এস.আই) ইশতিয়াক আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ তাদেরকে আটক করে। এসময় সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র থাকা শাহীন নামে আরেক ডাকাত পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তী বলেন, ’আটক চার ডাকাতের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ব্রিকফিল্ডে ডাকাতির ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে’। নেতাদের তদবির প্রসঙ্গে ওসি উত্তম কুমার চক্রবর্তী বলেন, এ ব্যাপারে কয়েকজন তদবির নিয়ে এসেছিলেন। আমরা তাদের বুঝানোর চেষ্টা করেছি।
Check Also
কুমিল্লায় তিন গৃহহীন নতুন ঘর পেল
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ– কুমিল্লা সদর উপজেলায় গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে ৪নং আমড়াতলী ইউনিয়নের গৃহহীন নুরজাহান বেগম, ...