সরাইলে ২৪ ঘন্টায় চার লাশ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া / ৪ ডিসেম্বর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)———
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গত ২৪ ঘন্টায় পৃথক স্থান থেকে চার জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসব ঘটনায় উপজেলার অরুয়াইল ও চুন্টা এই দুই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মাঝে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে সরাইল-অরুয়াইল সড়কের পাশে চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া ফসলি মাঠ এলাকা থেকে দিনমজুর মো. মুছা মিয়া (৬০) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মুছা মিয়া লোপাড়া গ্রামের মৃত এলেম মিয়ার ছেলে। সকালে তার লাশ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। এদিকে গ্রামবাসী অনেকের দাবি এ হত্যাকান্ডে অজানা রহস্য রয়েছে। পুলিশ জানায় মুখ বাঁধা অবস্থায় নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলেও পুলিশ মন্তব্য করেছেন।
এদিকে সোমবার দুপুরে অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন, রাজাপুর গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে আসাদ মিয়া (২৭) ও কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার নোয়াহাটা গ্রামের মৃত জামাল মিয়ার ছেলে চুন্নু মিয়া (৩৫)। স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোররাতে মেঘনা নদীর মোহনায় সুর-চিৎকার সহ গুলি বর্ষণের শব্দ তারা শুনেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে চুনু মিয়ার বুকে এবং আসাদ মিয়ার ঘাড়ে ও পিঠে গুলির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ডাকাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অপরদিকে সোমবার দুপুরে চুন্টা ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রাম থেকে সবিতা আক্তার (১৫) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সবিতা নরসিংহপুর গ্রামের আব্দুল বারিকের মেয়ে। গ্রামের লোকেরা জানান, নরসিংহপুর গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে নজরুল মিয়ার (২০) সাথে প্রেমের টানে গত শুক্রবার ঘর ছেড়ে যায় সবিতা আক্তার। পরে তাদের বিয়ে নিয়ে রোববার গ্রামে একটি সালিশ হয়। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, মেয়েটির বিয়ে নিয়ে গ্রাম্য মাতব্বরা সালিশ করেন। সালিশকারকদের দেওয়া সিদ্ধান্ত যৌতুকের (নগদ দুই লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণ) চাপেই সবিতা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পুলিশও আত্মহত্যার কারন সম্পর্কে প্রায় একই রকম কথা বলেছেন। এ ঘটনায় সরাইল থানায় অপহরণ, ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা অভিযোগে অভিযুক্ত প্রেমিক নজরুল এবং সালিশকারক সহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তী জানান, এসব ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা হয়েছে। পুলিশ গুরুত্বের সাথে ঘটনাগুলো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

আরিফুল ইসলাম সুমন

Check Also

কুমিল্লায় তিন গৃহহীন নতুন ঘর পেল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ– কুমিল্লা সদর উপজেলায় গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে ৪নং আমড়াতলী ইউনিয়নের গৃহহীন নুরজাহান বেগম, ...

Leave a Reply