ব্রাহ্মণপাড়া / ১ ডিসেম্বর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)———
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর বাজারে শনিবার (১ ডিসেম্বর) ভোর রাতে আকস্মিক অগ্নিকান্ডে ৩টি দোকান ভস্মিভ’ত হয়ে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা।
ঘটনাস্থল থেকে জানা যায় ১ ডিসেম্বর ভোর রাত আনুমানিক ৪টায় দুলালপুর উত্তর বাজারের আম্মাজান গার্মেন্টস (কাপড়ের দোকান), আল মদিনা লাইব্রেরী এন্ড ষ্টেশনারী এবং সাইফুল মেডিকেল হলে অগ্নিকান্ডে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে সেদিন দুপরে উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান হাজী জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এড. দেওয়ান আব্দুল জলিল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা হক পপি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের শান্তনা দেন। উপস্থিত জনতা এসময় ঘটনার বর্ননায় জানান ঘটনার সময় আম্মাজান গার্মেন্টস এর ভিতর থেকে অগ্নিকান্ডের ধুয়া দেখে বাজার প্রহরীরা প্রথম শোর চিৎকার করতে থাকে। তাদের ধারনা বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। প্রহরীদের শোর চিৎকারে পার্শবর্তী লোকজন ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পায় দোকানের সাটার তালাবদ্ধ রয়েছে। ইতিমধ্যে আগুনের তীব্রতা বেড়ে গিয়ে পার্শবর্তী আল মদিনা লাইব্রেরী এন্ড ষ্টেশনারী এবং সাইফুল মেডিকেল হলে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দোকান গুলোতে বৈদ্যুতিক মিটার সংযোগ থাকায় বিদ্যুতের ভয়ে আগুন নেভানোর জন্যে মানুষ এগিয়ে আসতে পারেনি। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সালাউদ্দিন, শাহ আলম মহাজন সহ অনেকেই এ’প্রতিনিধির নিকট জানায় বৈদ্যুতিক লাইন বন্ধ করার জন্য ঘটনার সময় অনেকেই পল্লীবিদ্যুতের নিকট মোবাইল ফোনে বহুবার চেষ্টা করলেও তারা ০১৭৬৯৪০১০৪৩ নাম্বারে মোবাইল রিসিভ করেনি। ফায়ার সার্ভিসের জন্যেও ফোন করা হয়। দীর্ঘক্ষন পল্লীবিদ্যুতের জন্য অপেক্ষার পর স্থানীয়রা ওই ঘরের বৈদ্যুতিক মিটার আলাদা করে দা দিয়ে কুপিয়ে বিদ্যুতের তার কেটে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ব্রাহ্মণপাড়ায় আসার পূর্বেই স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। এসময় তিনটি দোকানের প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিকেরা বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋনের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে ব্যবসা পরিচালনা করছিল। এসময় তারা আক্ষেপ করে বলেন, ব্রাহ্মণপাড়ায় ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন থাকলে হয়তো এত ক্ষতি হতো না। এছাড়া পল্লী বিদ্যুত সময় মত বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করলেও ক্ষয় ক্ষতি কম হতো।
Check Also
করোনাযুদ্ধে প্রথম জীবন উৎসর্গকারী কনস্টেবল জসিমকে বুড়িচংয়ে সমাহিত
বুড়িচং প্রতিনিধিঃ করোনাযুদ্ধে পুলিশে প্রথম জীবন উৎসর্গকারী কনস্টেবল জসিম উদ্দিনকে (৩৯) কুমিল্লায় সমাহিত করা হয়েছে। ...