ব্রাহ্মণবাড়িয়া / ২৮ নভেম্বর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)———
নিজ দলের নেতা খুনের দায়ে পলাতক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল (সদ্য বিলুপ্ত) উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবদুল হালিম এবং সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের বাসার মালামাল এখন সরাইল থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। জানা যায়, আদালতের নির্দেশে পুলিশ গত মঙ্গলবার রাতে পলাতক আওয়ামীলীগ নেতাদের বাসার মালামাল ক্রোক করে থানায় নিয়ে আসে। মামলার ২নং আসামি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারী বাসভবনের মালামাল ক্রোক করার সময় ১টি অবৈধ বিদেশী রিভলবার, ১টি রামদা ও ১টি বড় ছোড়া উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রফিক উদ্দিন ঠাকুরের বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে পুলিশ রফিক উদ্দিন ঠাকুরের বাড়ির মালামাল ক্রোক শুরু করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে রফিক ঠাকুরের শয়নকক্ষের বক্স খাট খোলামাত্র এর ভিতরে একটি বাক্সে বিদেশী এই রিভলবারটি পাওয়া যায়। পরে বাসা থেকে ১টি বড় রামদা ও ১টি বড় ছোড়াও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সরাইল থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা (এস.আই) ইশতিয়াক বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতেই মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে মামলার প্রধান আসামি আবদুল হালিমের জেলা শহরের বাসার মালামাল ক্রোক করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামীলীগ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার কোয়ার্টারের নীচ ও দু’তলার ৩টি ফ্ল্যাট দখলে নিয়ে সেখানে বসবাস শুরু করেন। নীচ তলার একটি কক্ষ অঘোষিত পুলিশ বক্স হিসেবে ব্যবহৃত হতো। প্রতিদিন রাতে ৪/৬ জন সশস্ত্র পুলিশ সদস্য রফিক উদ্দিন ঠাকুরের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। আর এ ব্যবস্থা করেছিলেন সরাইল থানার তৎকালীন বহুল আলোচিত ওসি গিয়াস উদ্দিন। এ ব্যাপারে সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ উত্তম কুমার চক্রবর্তী বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসভবন থেকে একটি বিদেশী রিভলবার, ১টি রামদা ও ১টি বড় ছোড়া উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ.কে.এম ইকবাল আজাদ নিজ দলের লোকদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের ছোট ভাই প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আজাদ বাদি হয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ২২জনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ এ পর্যন্ত এজাহারভূক্ত এক জন ও সন্দেহজনক ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে।
৮ম শ্রেণীর পড়–য়া রুনার
আজ গায়ে হলুদ : কাল বিয়ে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী রুনা আক্তারের গায়ে হলুদ আজ বৃহস্পতিবার। কাল শুক্রবার দুপুরে ধুমধামে অনুষ্ঠিত হবে তার বাল্য বিয়ে। ইতিমধ্যে সকল আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন করেছে পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রুনা উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আখিঁতারা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বাছিরের মেয়ে এবং আলহাজ্ব নুরুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী। পরিবার একই গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে সদ্য মালশিয়া ফেরত মো. রোকেল মিয়া (৩৩) সাথে তার বিয়ের দিন ধার্য্য করে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুনার একাধিক সহপাঠি জানিয়েছেন, রুনার লেখাপড়া করার প্রবল ইচ্ছে রয়েছে। জেএসসি পরীক্ষার আগেই পরিবার তার বিয়ে ঠিক করে। ফলে অনেক মনমরা হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেয় সে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, তার বিয়ের বিষয়টি আমি জেনেছি। এ বিষয়ে আমরা তার পরিবারের সাথে কথা বলবো।
পিতা বাছির মিয়া বলেন, ৯ বছর বয়সে তাকে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি করেছিলাম। তাছাড়া তারা বলেছে বিয়ের পরও রুনাকে লেখাপড়ার সুযোগ দিবে। তাই বিয়ের ব্যবস্থা নিয়েছি।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ওসি উত্তম কুমার চক্রবর্তী বলেন, স্থানীয়রা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে এ বিষয়টি দেখবো। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খাঁন বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। দ্রুত ব্যবস্থা নিব।
শোক: কাছম আলী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
কুমিল্লা ওয়েব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্টাফ রিপোর্টার আরিফুল ইসলাম সুমনের চাচা মো. কাছম আলী (৮৫) গতকাল বুধবার ভোরে সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছে নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল¬াহি…রাজিউন)। দুপুরে বিকেল বাজার শাহী মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে সৈয়দটুলায় পারিবারিক গোরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও তিন মেয়ে রেখে গেছেন।
বিজয়নগরে আওয়ামীলীগ নেতা নেতৃত্বে
বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে খুন:গ্রেপ্তার-৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আওয়ামীলীগ নেতার নেতৃত্বে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মনিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত ব্যাক্তি হলো- ওই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে সবজালী মিয়া (৪২)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দুধ মিয়ার সাথে বাড়ির সীমানাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সবজালী মিয়ার মামলা-মোকদ্দমা চলে আসছিল। এঘটনার জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনার জের ধরেই মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে দুধ মিয়ার নেতৃত্বে তার ভাইয়েরা সবজালী মিয়াকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তাছাড়া পুলিশ এ ঘটনায় দুধ মিয়ার ২ ছেলে মোশারফ হোসেন(২৩),ঈমাম হোসেন(২২) এবং গোলাপী বেগম(৩৫) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ওসি রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, এ ঘটনায় রাতেই নিহতের ভাই সেলিম মিয়া বাদী হয়ে আওয়ামীলীগ নেতা দুধ মিয়াসহ ১৭জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ রাতেই মামলার এজহারভুক্ত ৩ আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আরিফুল ইসলাম সুমন