মেঘনা / ১৭ নভেম্বর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)———-
কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার বকসীকান্দা গ্রামের গৃহবধূ মহিলা আক্তার(৩৫) গত শুক্রবার কেরীর ট্যাবলেট খেয়ে নিজ স্বামীর ঘরে আত্মহত্যা করে। গোপালনগর গ্রামের জজ মিয়ার মেয়ে মহিলা আক্তার ১৭ বছর পূর্বে বকসীকান্দা গ্রামের মোঃ রমজান আলীকে বিবাহ করে। তাহাদের ঘরে ১৫ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান আছে। মোঃ রমজান আলী ৯ বছর যাবত সৌদি আরবে কর্মরত। ৩ বছর পর পর ১ মাসের ছুটি বাড়ীতে আসে। পাশের ঘরের দেবর মোঃ হাসানের (২১) সাথে দীর্ঘদিন যাবত মন দেয়া নেয়া চলছে ভাবি মহিলা আক্তারের সাথে। এই নিয়ে গ্রামে বহুবার দেন দরবার হয়েছে। মহিলার নানার বাড়ি স্বামীর গ্রাম বকসীকান্দা গ্রামে। মাঝে মাঝে মামা আওয়াল ও মিজান ভাগনিকে অবৈধ পথ হইতে সরাতে চেষ্টা করেছে। যারফলে মামারা গত ১৫ নভেম্বর ভাগনিকে হালকা শাষন করে স্বামীর সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য। হাসানের পিতা হায়দার আলী ছেলেকে খারাপ পথ হইতে সরাতে গত ১৫ নভেম্বর নিজ গৃহে গ্রামের মেম্বার মোঃ বিল্লাল হোসেন, মোঃ নাজিম মাষ্টার, মোঃ সফর আলী, মোঃ তারা মিয়াকে নিয়ে হাসানকে শাষন করে। হাসানের পিতা এক পর্যায়ে ছেলেকে জুতা পিটা করে। এই খবর পাশের ঘরের ভাবি মহিলা আক্তারের কানে আসলে ঘরে থাকা কীটনাশক ঔষধ কেরির ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা চালায়। গ্রামের মেম্বার ও মাতাব্বরগন খবর পেয়ে নিকটতম হাসপাতালে নেয়ার পথে মহিলা আক্তার মৃত্যুবরন করে। মেঘনা থানাতে সংবাদ জানাতে যায় মহিলার পিতা জজ মিয়া। এক পর্যায়ে মেঘনা থানাতে গ্রাম্য মাতাব্বসহ হাসানের বিরুদ্ধে থানাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৪, তারিখ-১৬-১১-১২ইং। মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই মোঃ জালালউদ্দিন। এই ব্যাপারে গ্রামের তরুন মেম্বার মোঃ বেল্লাল হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন করে। গ্রামবাসী জানায়, তরুন মেম্বার মোঃ বেল্লাল হোসেন অত্যান্ত ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির লোক। সে গ্রামের উন্নয়নে আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছে। মহিলা আক্তার তাহার কৃতকর্মের অনুশোচনায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। এই জন্য গ্রামের মাতাব্বরগন কোন প্রকার দ্বায়ীনয় বলে মত প্রকাশ করেছে। গ্রামবাসী আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে ন্যায় বিচারের আশা করেছে।
মোঃ ইসমাইল হোসেন মানিক
মেঘনা প্রতিনিধি