এলোমেলো রাজনীতি : বড় দু’দলের কোন্দল চরমে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া / ১৬ নভেম্বর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)———-
সরাইল, আশুগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের তিন ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি। এ আসনের সরাইলে আওয়ামীলীগ, বিএনপির রাজনীতি দীর্ঘদিন ধরে সহিংস। সর্বশেষ রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ.কে.এম ইকবাল আজাদ খুনের ঘটনার পর স্থগিত করা হয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যক্রম। দু’পক্ষের বিরোধের জের ধরে জেলা কমিটির নির্দেশে দীর্ঘদিন স্থগিত ছিল উপজেলা বিএনপির কার্যক্রমও।
আওয়ামীলীগঃ
সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হিসেবে আব্দুল হালিম দুই বার এবং ধানমন্ডী আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহামেদ এবং জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব.) জহিরুল হক খান ১ বার করে এ আসন থেকে নির্বাচন করলেও তারা বিজয়ী হতে পারেননি।
২১ অক্টোবর দলীয় কোন্দলের জের ধরে খুন হন সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি এ.কে.এম ইকবাল আজাদ। নিহতের পরিবার ও সমর্থদের অভিযোগ এ ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলীসহ দলীয় নেতারা। তাদের আসামী করে থানায় মামলাও করেন নিহত ইকবালের ছোট ভাই প্রকৌশলী এ.কে.এম জাহাঙ্গির আজাদ। এর পর থেকেই পলাতক জীবন শুরু করেন হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত নেতাদের। হত্যা মামলার আসামী আব্দুল হালিম এবং নিহত এ.কে.এম ইকবাল আজাদ দুজনই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
এদিকে এ ঘটনার আগে গত ১২ অক্টোবর সকালে পাকশিমুল ইউনিয়নের সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তনের জের ধরে এ.কে.এম ইকবাল আজাদের অনুসারীদের হাতে লাঞ্ছিত হন আব্দুল হালিম। এর পর থেকে উৎতপ্ত হয়ে উঠে সরাইলের রাজনীতি। এ ঘটনার প্রতিবাদে হালিমের নিজ গ্রাম নোয়াগাঁও এবং কালীকচ্ছে বেশ কয়েকটি প্রতিবাদ সভা হয়। সভায় আব্দুল হালিম তার বক্তব্যে ইকবাল আজাদ কিভাবে রাজনীতি করেন সেটা দেখে নেবেন বলে হুমকি দেন। পরে সারাদিন মহাড়া নিয়ে তার অনুসারিরা খুন করে ইকবাল আজাদকে। ইকবাল আজাদের হত্যার পর ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে সরাইল। চলে জ্বালাও পুড়াও আর ধারাবাহিক আন্দোলন। তাছাড়া সম্প্রতি ইউনিয়ন সম্মেলনকে ঘিরে সেখানে শুরু হয়েছিল নানা নাটকিয়তা। আব্দুল হালিম সভাপতির পদ ধরে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। এ নিয়ে অপ্রকাশ্যেই নিজ গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুরের সাথেও তার মনোমালিন্যও হয়।
এর আগে ২০১১ এর প্রথমদিকে ইউপি নির্বাচনের জের ধরে হত্যাকান্ডের শিকার হন উপজেলা আওয়ামীলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুরের ছোট ভাই আনিছুল ইসলাম ঠাকুর। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আসামী করা হয় উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রশেদসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকে। একই ঘটনায় পাল্টা হামলায় নিহত হন লিলু মিয়া নামে এক ব্যক্তি। ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় প্রধান আসামী করা হয়, রফিক উদ্দিন ঠাকুরকে। এ ঘটনার মধ্য দিয়েই আওয়ামীলীগের বিরোধ প্রকাশ্য রুপ পায়। সর্বশেষ ইকবাল আজাদ হত্যাকান্ডের পর জেলা কমিটি এক বিবৃতির মাধ্যমে সেখানে আওয়ামীলীগ এবং যুবলীগের কার্যক্রম স্থগীত করে।
অন্যদিকে রয়েছে আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ ফিরোজ মিয়া এবং সহ-সভাপতি মো.সফিউল্লাহর মধ্যে। তবে কর্মসূচী পালিত হয় একই সাথে।
সরাইল উপজেলা যুবলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু বলেন,‘ আওয়ামীলীগ এই আসন ফিরে পাওয়ার একটাই পথ আছে তা হলো নিহত জনপ্রিয় নেতা ইকবাল আজাদের পরিবার থেকে যদি কেউ প্রার্থী হয়ে আসে। তবে ইতিমধ্যে আমরা তার পরিবারের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছি যে তার স্ত্রী অথবা ভাই আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী হবেন। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি দলীয় এম.পি কে জিম্মি করে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরা টিআর, কাবিখার হরিলুট করেছেন। আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে গম আত্মসাতের মামলাও রয়েছে। তাদের কারণেই আজ সরাইল আওয়ামীলীগের এই দূরাবস্তা বলে দাবি করে তিনি।
জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেজর জহিরুল হক খান বলেন, জনপ্রীয় এই নেতাকে হত্যার পর মানুষ স্থম্ভিত হয়ে গেছে। আমরা সেখানে দলের কার্যক্রম স্থগিত করে বিলুপ্তের জন্য কেন্দ্রে পাঠিয়েছি। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যেই সিদ্ধান্ত আসবে। তারপর এ বিষয়ে সার্বিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এই আসন থেকে আগেও প্রার্থী ছিলাম এখনো মনোনয়ন প্রত্যার্শী।
মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা: ইতিমধ্যে এই আসন থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মেজর (অব:) জহিরুল হক খান (বীরপ্রতিক)। তাছাড়া ধানমন্ডী আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহামেদ, আশুগঞ্জের বাসিন্দা সাবেক আমলা মো. ইসহাক ভূইয়া, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাজাহান আলম সাজু, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শাহ মো.মফিজের নামও শুনা যাচ্ছে। তবে নিহত ইকবাল আজাদের পরিবার থেকে কেউ প্রার্থী হলে আওয়ামীলীগ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে বলে মনে করেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
জাতীয় পার্টিঃ:
এই আসনে জাতীয় পার্টির রাজনীতি বলতে এম.পি জিয়াউল হক মৃধা। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে জাতীয় পার্টির কোন সাংগঠনিক তৎপরতা নেই বললেই চলে। আশুগঞ্জ এবং সরাইল উপজেলা নির্বাচন হচ্ছেনা দীর্ঘ ৬-৭ বছর ধরে। সম্প্রতি এম.পির কল্যাণে তার সাথে ভালো সম্পর্ক আছে এমন কিছু আওয়ামীলীগ দলীয় নেতা কর্মী দলে যোগ দিলেও সেখানে বর্তমান অবস্থা খুব একটা ভালো নেই। সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সম্প্রসারিত ভবন উদ্বোধন নিয়ে উপজেলা পরিষদের বর্তমান পলাতক(হত্যা মামলা) চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক উদ্দিন ঠাকুরের সাথে সংসদ সদস্যের দ্বন্দ প্রকাশ্য রুপ নেয়। সংসদ সদস্য ভবনটি উদ্বোধন করার কথা থাকলেও প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান তাঁর নামে নাম ফলক লাগিয়ে উদ্বোধন করেন বলে এলাকায় প্রচার আছে। সরাইল-অরুয়াইল সড়কের নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী ফলকেও সংসদ সদস্যের নামের নীচে উপজেলা চেয়ারম্যানের নাম থাকা নিয়ে চলে নানা কানাঘুষা। এদিকে সরাইল ডিগ্রী কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন মন্তু ও ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন গত মে মাসে সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, সংসদ সদস্য তাঁর ভাই মৃধা আহমেদুল হক কামালকে অধ্যক্ষ বানাতে নিয়ম লঙ্গন করেছেন।
এদিকে ভাগবাটোয়ারা নিয়েও দু’দলের নেতাকর্মীদের মাঝে দ্বন্দ রয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতাদের অভিযোগ, আওয়ামীলীগ নেতারা প্রভাব খাটাচ্ছে। তাঁদের কারনে জাতীয় পার্টির নেতারা অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত হয়ে আছে। উপজেলায় সংগঠনের কার্যক্রমও খুব একটা চোখে পড়ে না। সংসদ সদস্য এলে তাঁর বাড়িতে কিংবা কোনো অনুষ্ঠানে দলের নেতা-কর্মীদের ভীড় বাড়ে। পাশাপাশি সরাইলের কালীকচ্ছ এলাকায় সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত অফিসেও দলের নেতাকর্মীরা নিয়মিত আসেন। সেখানে বসেই দলের বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মৃধা বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ইউনিয়নের কমিটি করা শেষ করে এনেছি। ডিসেম্বরের মধ্যে সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা সম্মেলন শেষ করতে পারবো বলে আশা রাখি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামীলীগ দলীয় নেতাকর্মীদের প্রভাবের কারণে দলীয় নেতাকর্মীরা অনেক ক্ষেত্রেই বঞ্চিত হয়েছে এটা সত্য। তবে এবার একক কিংবা মহাজোট দুই ভাবেই নির্বাচন করতে আমি এবং দল সাংগঠনিক ভাবে প্রস্তুত।
১৮ দলীয় জোটঃ
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টার ও অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমানে বিভক্ত সরাইল বিএনপি। সর্বশেষ দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীও দুই গ্রুপ পালন করেছেন আলাদা আলাদা ভাবে। ১/১১ থেকে সরাইল বিএনপি’র এই দ্বন্দের সূত্রপাত। যা পূর্নতা পায় কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে কোন্দলে। বছর দুইয়েক আগে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা উকিল আব্দুস সাত্তারকে আহবায়ক করে তিন মাসের জন্য কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত এক সভাতেই সিনিয়র নেতারা নাস্তনাবোধ হন। পরে বিএনপি’র একাধিক পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দ্বন্দের জের ধরে বিএনপি’র রোড মার্চের সময় সাবেক প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুর সাত্তারের গাড়ি ভাংচুর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ অবস্থায় এক সময়ের দলে কান্ডারি সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া সরাইলে আসা প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন। উকিল আব্দুস সাত্তার আনোয়ার হোসেনের পক্ষে আছেন বলে জানা গেছে। দ্বন্ধের জের ধরে অনেক নেতাই এখন সেখানে নিস্ক্রিয়। এদিকে অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান দাবি করেছেন নেতাকর্মীদের প্রতিরোধে এলাকায় ঢুকতে পারেননা উকিল আব্দুস সাত্তার। তবে আনোয়ার মাস্টারের পাল্টা দাবি প্রতিরোধের মুখে ৫টি ইউনিয়নে পা রাখতে পারেননা অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান।
এসব বিষয়ে আনোয়ার হোসেন মাস্টার বলেন, ১/১১ পর অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান খালেদা জিয়াকে গালিগালাজ করতেন। ম্যাডামের মুক্তির আন্দোলনে তাকে খোঁজেও পাওয়া যায়নি। নেতাকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে সরাইলের ৫টি ইউনিয়নে তিনি ঢুকতেই পারেননা। এক সময় ছাত্রলীগ করলেও সাত্তার সাহেবের কল্যানে তিনি দলে এসেছেন আর এখন সেই আব্দুর রহমান বলেন সংসদ নির্বাচন করবেন!
অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, উকিল আব্দুস সাত্তারের সাথে তৃণমুলের নেতাকর্মীদের কোন যোগাযোগ নেই। তিনি চারবার এমপি হলেও নিজ এলাকার একটি রাস্তাই করতে পারেননি। নেতাকর্মীদের প্রতিরোধে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় যেতে পারেনা তিনি। বিগত উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে আমার জয় তিনি ছিনিয়ে নিয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি দল সাত্তার সাহেবকে নয় আমাকেই মনোনয়ন দিবে। তিনি বলেন, এবছর দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আমরা কার্যলয়ে পালন করলেও ওই গ্রুপ আওয়ামীলীগ নেতাদের সমর্থন নিয়ে পুলিশি পাহাড়ায় উপজেলা মিলনায়নে তা পালন করেছেন।
এদিকে গত ৩ মে উপজেলার কুট্টাপাড়া খেলার মাঠে আমিনীর গৃহবন্ধিত্বের অবসান দাবিতে সমাবেশ ডাকে ইসলামী ঐক্যজোট। সেসময় একই স্থানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার তরান্বিত করার দাবিতে সমাবেশ ডাকে জেলা ওলামা পরিষদ। পরে প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। বস্তুত তার পর থেকেই নিরব ঐক্যজোট নেতারা। দেওয়া হচ্ছেনা নতুন কোন কর্মসূচী।
এসব বিষয়ে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনি বলেন, গৃহবন্ধি থাকার কারণে আমি বর্তমানে এলাকায় জেতে পারছিনা। তবে আমার লোকজন এলাকায় যাচ্ছেন এবং সাংগঠনিক কাজকর্ম করছেন। তবে আমি এই আসন থেকে আবারও নির্বাচন করছি ইনশাল্লাহ।
এছাড়া জাতীয় পার্টি (জেপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা সভাপতি জামিলুল হক বকুল এই আসনে প্রার্থী হবেন। ঈদের আগ থেকেই তিনি বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, আগামি ২৪ নভেম্বর আমাদের উপজেলা দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই আসন থেকে আমি প্রার্থী হচ্ছি এটা প্রায় নিশ্চিত। আশা করি আমরা ভালো করবো।

(আরিফুল ইসলাম সুমন, স্টাফ রিপোর্টারঃ)

Check Also

করোনাযুদ্ধে প্রথম জীবন উৎসর্গকারী কনস্টেবল জসিমকে বুড়িচংয়ে সমাহিত

বুড়িচং প্রতিনিধিঃ করোনাযুদ্ধে পুলিশে প্রথম জীবন উৎসর্গকারী কনস্টেবল জসিম উদ্দিনকে (৩৯) কুমিল্লায় সমাহিত করা হয়েছে। ...

Leave a Reply