ব্রাহ্মণবাড়িয়া / ১৫ নভেম্বর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)———-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দলীয় লোককে কাজ না দেওয়ায় প্রকৌশলীকে পেটাল আওয়ামীলীগ নেতারা। এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের শীর্ষ তিন নেতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে মারধরের শিকার হওয়া এলজিইডি প্রকৌশলী সানজিদ আহমেদ বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১ নম্বর আসামী করা হয়েছে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক গাজী আব্দুল মতিনকে। তাছাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক মিয়াকে ২ নম্বর এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ শেখ বোরহান উদ্দিনকে ৩ নম্বর আসামী করা হয়েছে। এদিকে মামলা দায়েরর পর সহকারি পুলিশ সুপার(নবীনগর সার্কেল) মো. শফিউর রহমানের নেতৃত্বে দাঙ্গা পুলিশ নিয়ে আসামীদের ধরতে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের দাবি সন্ধ্যার পর থেকে কয়েকঘন্টা তারা সড়ক বাজারে টহল ছাড়াও ২ আসামীর বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু পলাতক থাকায় তাদের ধরতে পারেননি। তবে বুধবার সকালে অফিসিয়াল গাড়ি নিয়ে থানার সামনে দিয়েই নিজ কার্যালয়ে যান আলহাজ শেখ বোরহান উদ্দিন। সেখানে তিনি কয়েকঘন্টা অবস্থান করেন। থানার ঠিক উল্টা দিকে তার কার্যালয় হলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেনি। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেছেন অনেকেই।
সরেজমিনে এবং থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধরখার ইউনিয়নের ভাটামাথা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারন ভবন নির্মানের কাজ মেসার্স ফয়সাল কনস্ট্রাকশন ফার্মকে দিতে চাপ দিচ্ছিলেন ওই আওয়ামীলীগ নেতারা। ঘটনার দিন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রকৌশলীকে তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান এবং সেখানে গাজী আব্দুল মতিন এবং মানিক মিয়া একই ভাবে তাকে চাপ দিতে থাকেন। এসময় তারা প্রকৌশলীকে জানান এই কাজ পাইয়ে দিতে ইতিমধ্যে তারা ২ লাখ টাকা নিয়েছেন এবং সেই টাকা ভাগভাটোয়ারাও হয়ে গেছে। ফলে কাজ না দিলে ওই টাকা প্রকৌশলীকেই দিতে হবে। তিনি এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে আওয়ামীলীগ নেতারা তাকে চুলে ধরে টানতে থাকেন এবং বেধম মারধর করে আহত করেন। তিনি দৌড়ে নিজ কার্যালয়ে ধরজা বন্ধ করে প্রানে বাঁচেন কিন্তু সেখানেও তারা তাকে মারতে যান। এ অবস্থায় তিনি চরম নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ শেখ বোরহান উদ্দিন মঙ্গলবার তার কার্যালয়ে কোন ঘটনাই ঘটেনি বলে দাবি করলেও বুধবার ঘটনা স্বীকার করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার জন্য আমি প্রকৌলশীর কাছে দু:খ প্রকাশ করেছি এবং আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে মিলিয়ে দিয়েছিলাম। তার পরেও কেন এসব হচ্ছে তা সবই আমি বুঝতে পারছি। তবে বর্তমানে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরে এ বিষয়ে করণিয় ঠিক করবো।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন,‘ এ ঘটনায় পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ে গেছেন শুনে আমি নিজে অভিযানে যাই কিন্তু সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি।’
Check Also
কুমিল্লায় তিন গৃহহীন নতুন ঘর পেল
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ– কুমিল্লা সদর উপজেলায় গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে ৪নং আমড়াতলী ইউনিয়নের গৃহহীন নুরজাহান বেগম, ...