সরাইল / ১১ নভেম্বর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)———-
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় মো. এনায়েত খান খোকন (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেভাজন হিসেবে গত শনিবার রাতে চট্টগ্রামের চকবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে আসে। এনায়েত হোসেন উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী (মহিলা আওয়ামীলীগের সভানেত্রী, সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা আওয়ামীলীগ কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা) রোকেয়া বেগমের জামাতা ও ইকবাল আজাদের আত্মীয়। তাঁর বাড়ি উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের দত্তপাড়ায়। তার পিতার নাম মোঃ ইস্তিয়াক খান। পুলিশের অভিযোগ, খুনের মামলার এক আসামী চট্টগ্রামে খোকনের বাসায় অবস্থান করে।
এদিকে হত্যা মামলার অন্যতম আসামী মোকারম হোসেন সোহেলকে সরকারি চাকারি থেকে সামায়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। মোকারম হোসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা শওকত হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রোকেয়া বেগম বলেন, ’ঘটনার সঙ্গে আমার মেয়ের জামাইয়ের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ওইদিন সে চট্টগ্রাম ছিল। সে রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত নয়। ইকবাল আজাদকে কে হত্যা করেছে তা সবাই জানে। অথচ পুলিশ বিষয়টিকে অন্যদিকে মুড় নেওয়াচ্ছে। ইকবাল আজাদ আমার চাচাতো ভাই। তাঁর হত্যাকারিদের ফাঁসি দাবিতে আমি সোচ্চার’।
মামলার বাদী জাহাঙ্গীর আজাদ বলেন, ’খোকনকে গ্রেপ্তার করার বিষয়টি পুলিশ আমাকে জানিয়েছে। তবে সে মামলার আসামী নয়। আমি তাকে চিনিও না। পুলিশ বলেছে ঘটনার পর আসামী মাহফুজসহ দু’জন খোকনের চট্টগ্রামের বাসায় ছিল’।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ’খোকনের বাসায় আসামীরা অবস্থান নিয়েছিলো। এছাড়া সে ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা সে বিষয়টি জানার জন্য রিমান্ডে আনা হয়েছে’।
আরিফুল ইসলাম সুমন