মতলব উত্তর/ ১০ নভেম্বর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)———-
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ৪৮ টি বেসরকারী রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৬ টি’র ভবনই রয়েছে ঝুঁকিপূর্নের তালিকায়। এর মধ্যে ভবন নির্মানের ১৭ বছরের মাথায় ঝুঁকিপূর্নের তালিকায় স্থান পেয়েছে ২৬ টি এবং ১০ বছরের মাথায় ঝুঁকিপূর্ন তালিকায় স্থান পেয়েছে ৬ টি বেসরকারী রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়।
সরেজমিনে ১৯৯৮ সালে নির্মিত বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ন তালিকায় স্থান পাওয়া দিঘলিপাড় বেসরকারী রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখাযায়, ভবনের ছাদের আস্তর খসে পড়ছে, দরজা-জানালা ভাঙ্গা এবং বড় সমস্যা হলো বৃষ্টি হলে ছাদ দিযে পানি পড়ে সব একাকার হয়ে যায়। দক্ষিন রামপুর বেসরকারী রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাওভাঙ্গা বেসরকারী রেজিস্টার্ড, আবুরকান্দি বেসরকারী রেজিস্টার্ড, দঃ শিকিরচর বেসরকারী রেজিস্টার্ড, পূর্ব নাউরী বেসরকারী রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালযে গিয়ে ভবনের প্রায় একই হাল লক্ষ করা গেছে। তবে ঝুঁকিপূর্ন তালিকায় থাকা স্কুলগুলোর মধ্যে প্রায় সকলস্কুল ভবনে একটা সমস্যার মিল রয়েছে তা হলো ছাদ দিয়ে পানি পড়ার বিষয়টি।
তবে, বিগত সময়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে। আর সে কারনেই সংস্কার করা হলেও অল্প সময়ের মধ্যে আবারো সেইসব বিদ্যালয় ভবনগুলো হয়ে যায় জড়াজীর্ন। এ কাজে বরাবরই ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের একটা অংশ সংস্কার কাজগুলো নিজেদের হস্তগত করে দায়সারভাবে সংস্কার কাজ করে থাকেন। কাজেই, সংস্কার কাজে স্বচ্ছতা ও সংস্কারকরা ভবনগুলো দীর্ঘ্য সময় ব্যাবহার উপযোগী রাখার লক্ষ্যে সংস্কার কাজেরই সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করেন শিক্ষা সচেতন মহল।
অল্পসময়ে পাঁকা ভবন নষ্ট হয়েযাবার বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) রবিউর আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কোন পাঁকা ভবনই অল্প সময়ের মেয়াদে নির্মান করা হয় না, তবে অল্প সময়ের মধ্যে কোন ভবন নষ্ট হয়ে গেলে বুঝতে হবে সেই ভবন নির্মানের গুনগত মান ভল ছিল না।
শামসুজ্জামান ডলার
মতলব উত্তর(চাঁদপুর)