মতলব / ১ নভেম্বর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)———-
চুরান্ত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য শিক্ষার্থীর মানযাচাই, ত্রুটিগুলো সংশোধনের সুযোগ তৈরী ও চুরান্ত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নেয়া হয় মডেল টেষ্ট বা নির্বাচনী পরীক্ষা। কিন্তু চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের মাত্র ১ দিন পরেই জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। কোন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবার এই টেষ্ট পরীক্ষার ফলাফলই তৈরী হয়নি। অথচ এর আগেই শুরু হয়ে যাবে জেএসসি ও জেডিসি’র মূল পরীক্ষা।
এবার মতলব উত্তর উপজেলায় ৩৯ টি স্কুল ও ১২ টি মাদ্রাসা থেকে ৫ হাজার ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিবে। আর এই ৫ হাজার ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থী স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযুগে গত ০৬অক্টোবার থেকে শুরু হয়ে ১৮ অক্টোবার পরীক্ষা শেষ হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নির্বাচনী পরীক্ষার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জনপ্রতি ফি উত্তোলন করেছে ২৫০ টাকা হারে। আর এই পরীক্ষার তারিখ ও পরীক্ষা ফি একই রাখার সিদ্ধান্তটা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির।
এ উপজেলায় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার মডেল টেষ্ট বা নির্বাচনী পরীক্ষায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অংশ নেয়া ৫ হাজার ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থীর থেকে ২৫০ টাকা হারে উত্তোলন করলে ১৩ লক্ষ ৪১ হাজার ৭৫০ টাকা উত্তোলিত হবে। অন্যদিকে, খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, এ পরীক্ষা নিতে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যায় হতে পারে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার মতো। সে হিসেব মতে, মতলব উত্তর উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনের চেয়ে ৯ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা অতিরিক্ত উত্তোলন করেছে। এতদ সত্বেও, মেধা যাচাই ও ত্রুটি সুধরিয়ে পুরোপুরি প্রস্তুতি নিতে ৮ম শ্রেনীর এই মডেল টেষ্ট বা নির্বাচনী পরীক্ষাটা কোন কাজেই আসেনি মতলব উত্তর উপজেলার ৫ শহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জন্য।
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার ফলাফলের ১ দিন পরেই মূল পরীক্ষা তবে প্রস্তুতিমূলক মডেল টেষ্ট পরীক্ষাটি কার স্বার্থে নেয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আশ্রাফুল আলম বলেন, জেনেছি এই পরীক্ষার ফলাফলটা কোন কোন প্রতিষ্ঠান ঈদের আগে( ২৭ অক্টোবার) কোন কোন প্রতিষ্ঠান ঈদের পরে প্রকাশ করেছে। তবে এই পরীক্ষাটা নেয়ার ব্যাপারে সরকারী কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
শামসুজ্জামান ডলার
মতলব উত্তর(চাঁদপুর)