আদর্শ সন্তান যদি চাই

একটা আদর্শ সন্তান, পরিবারে-সমাজে-রাষ্ট্রে কল্যান মূলক ভূমিকা রাখতে পারে । তাই প্রচলিত কথা অনুযায়ী আমাদের দেশের মা-বাবারা বলে খাকেন আমার ছেলে/মেয়ে আদর্শবান হবে।সন্তানদের প্রতি একটা প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু সুশিক্ষিত আদর্শ বাবা-মা থেকে আদর্শ সন্তান হবার একটা সম্ভাবনা থাকে এটা আমরা ভুলে যাই।আদর্শ মা-বাবা থেকে আদর্শ সন্তান, এভাবে আদর্শ পরিবার-আদর্শ সমাজ-আদর্শ রাস্ট্র এভাবে ধাপে ধাপে এসে যায়। আমাদের দেশে আদর্শ সন্তান ক’টা আছে সেটা খতিয়ে দেখার আগে-একটু খোঁজ নেওয়ার আমরা কটা আদর্শ মা-বাবা আছে।

আমাদের দেশের অভিভাবকরা বলে থাকেন-আমার স্বপ্ন ছিল আমার সন্তান আদর্শবান হবে-কিন্তু হায় এটা কি হলো সে ঠিকমত লেখাপড়া করে না,নামাজ পড়ে না,বড়দের কথা শুনে না ইত্যাদি। কিন্তু মা-বাবারা কতটুকু আদর্শ চিন্তা ধারা / আদর্শ জীবন ধারার সাথে সম্পৃক্ত সেটা তারা নিজেরাও জানেন না। কিন্তু আশাটা ঠিকই সু-সন্তানের/আদর্শ সন্তানের।

সন্তানরা যখন দেখে মা-বাবা,সত্য কথা বলে না-নিয়মিত নামাজ পড়ে না, ভাল লেখকের বই পড়ে না,মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকে,উগ্র পোশাক পরে, মা/ বাবার চরিত্রে সমস্যা-তখন তাদের মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধা থাকে না, মুরুব্বীদের মান্য করে না, লেখাপড়া ঠিকমত করে না কখনো খারাপ বন্দুদের সাথে মিশে অনেক সময় নেশা গ্র¯থ হয়ে পড়ে।

আবার অনেক মা-বাবা আছেন-যাদের নিজেদের মধ্যে সু-সম্পর্ক আছে কিন্তু সন্তানকে দেখাশুনা করার জন্য একজন সাহায্যকারী রেখে দিয়েছেন। তারা নিজেরা-সন্তান কি খেল, কি পড়ল, কখন স্কুলে গেল,কাদের সাথে বন্ধুত্ব করল-কোন খোঁজ খবর রাখেন না।এক্ষেত্রে মা-বাবা যতই ভাল হোক তাদের কাছ থেকে আদর্শ সন্তান আশা করা যায় না।
সেই সব মা-বাবারাই আদর্শ সন্তান আশা করতে পারেন-যে মা-বাবার মধ্যে সু-সম্পর্ক বিদ্যমান,যাদের জীবন যাত্রা রুচিশীল-মার্জিত চরিত্রের অধিকারী-সন্তান লালন পালনে মা-বাবার জোরাল ভুমিকা রয়েছে।

অর্থাৎ সন্তানের বেড়ে ওঠা, সময় মত স্কুলে যাচ্ছে কি না, নিজের পড়া নিজে তৈরী করছে কি না,সময় মত খাওয়া-দাওয়া,নিয়মিত প্রার্থনার অভ্যাস করানো,তাদের মার্জিত পোষাক পরানো,বন্ধু নির্বাচন,ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য ভাল লেখকের বই পড়ানো-এসব সন্তানকে অভ্যাস করানো মা-বাবারই দায়িত্ব।
আমাদের সমাজে আদর্শ সন্তান লাভের ক্ষেত্রে শুধু মায়ের ভুমিকার কথা বলে থাকে।/আদর্শ মা হলে আদর্শ সন্তান হবে।আমাদের এই চিন্তা ধারা ভুল।সন্তান লালন পালনে মা-বাবার উভয়ের ভূমিকা প্রয়োজন।

অর্থ্যাৎ, যে মা-বাবার উভয়ের পরামর্শে সন্তান পরিচালিত হয়-সেই সন্তান আদর্শ সন্তান হিসেবে বেড়ে ওঠার সম্বাবনা থাকে।

কাজী কোহিনূর বেগম তিথি

Check Also

মিনি ওয়াক-ইন-সেন্টারের মাধ্যমে রবি’র গ্রাহক সেবা সম্প্রসারণ

ঢাকা :– গ্রাহক সেবাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে মোবাইলফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড সম্প্রতি মিনি ওয়াক ...

Leave a Reply