দেবিদ্বার / ২৯ অক্টোবর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)———-
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্তের আলোকে উপজেলা জামায়াতের তথাকথিত ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে নিজেদের মাঝে অভ্যর্ন্তীণ কোন্দলে জড়িয়ে পরেন।
জানা যায়, গত রোববার ঈদের পরদিন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির দেবিদ্বার উপজেলা কর্তৃক আয়োজিত ঈদ পূণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও সাবেক সাংসদ ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মু. তাহের। বক্তব্য শেষে সাবেক সাংসদ তাহের চলে যাওয়র পর কুমিল্লা উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক আলী আশরাফ খাঁন তথাকথিত ভোটে মনোনীত সাইফুল ইসলাম শহীদকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা ও পরিচয় করিয়ে দেন। সাবেক সাংসদ ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মু. তাহের এর অনুপস্থিতিতে ওই ঘোষনার ফলে নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্দ হয়ে পড়েন এবং অনেক নেতাকর্মী অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
ক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা সাংবাদিকদের জানান, জামায়াতের অনেক রোকনদের বিরুধীতার মধ্যদিয়ে প্রতারণা করে তথাকথিত ভোটের মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচনে সাইফুল ইসলাম শহীদকে মনোনয়ন করেন উপজেলা জামায়াত। ওই তথাকথিত ভোটের সময় উদ্দেশ্য মূলকভাবে উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবদুস ছালাম কয়েকটি শর্ত আরোপ করেন, শর্তগুলো হলো যাকে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোট দেওয়া হবে তিনি জামায়াতের রোকন, শিবিরের সাথী সদস্য হতে হবে এবং সে স্থানীয় লোকও হতে হবে। তাই ভোটাররা উপজেলা সদরে সাইফুল ইসলাম শহীদকে ছাড়া আর কাউকে না পেয়ে বাধ্য হয়ে তাকে ভোট প্রদান করেন। নেতাকর্মীরা ক্ষুব্দ হওয়ার কারন হিসেবে জানান, অনেক দিন ধরে আমরা জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে শুনে আসছি গুনাইঘর ইউনিয়নের কৃতিসন্তান জামায়াতের যুক্তরাজ্য মুখ্যপ্রাত্র ব্যারিষ্টার আবু বকর সিদ্দিক মোল¬া, ইসলামী এইড বাংলাদেশের পরিচালক মোস্তফা হোসাইন সরকার ও রিলায়েন্স গ্র“পের এমডি,শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আবু সাঈদ মোঃ ফারুক এর নাম। কিন্তু দুই বছর আগে ওই সাইফুল ইসলাম শহীদকে দেবিদ্বার পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কমিশনার প্রার্থী হিসেবে সিদ্ধান্ত নিয়ে বিভিন্ন রকমের পোষ্টার, ফেষ্টুন, ব্যানার ও ষ্টিকার করে প্রচারনা চালায়। গত রমজান ঈদে পৌর এলাকার ৫নং ওয়ার্ড বাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যাপক প্রচারনা চালায় সাইফুল ইসলাম শহীদ। ওই কয়েক দিনের ব্যবধানে সাইফুল ইসলাম শহীদকে পৌর কমিশনার প্রার্থী বাতিল করে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করার সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়। অনেক যোগ্য লোককে বাদ দিয়ে তাকে প্রার্থী করায় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্দ হয়ে উঠেন এবং যে কোন মূহুর্তে সংঘাতে জড়িয়ে পরতে পারেন বলে জানা যায়। ওই ভোটা ভোটিতে অংশ নেওয়া শিবিরের অনেক সাথী এখনও জাতীয় নির্বাচনে ভোটার না হয়েও প্রার্থী বাছাইয়ে ভোট প্রদান করায় বির্তকীত হয়ে পরেন স্থানীয় জামায়াত নেতারা। এদিকে ওই ঈদ পূণর্মিলনী অনষ্ঠানে দেবিদ্বারের ত্যাগী ও সাবেক ছাত্রনেতাদেরকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তাই তারা ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়ায় বলেন,উদ্দেশ্য মূলক ভাবে আমাদেরকে দাওয়াত দেওয়া হয় নাই, আমদেরকে দাওয়াত দিলে শহীদকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষনা করতে দেওয়া হত না।
এ ব্যাপারে উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আবদুস ছালাম জানান, কেন্দ্রীয় সংগঠনের নির্দেশনার আলোকে জামায়াতের ৭৫জন রোকন ও শিবিরের প্রায় ৩০০জন সাথী সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অভ্যর্ন্তীণ কোন্দলে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের মাঝে কোন প্রকার কোন্দল নাই।
Check Also
দাউদকান্দিতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
হোসাইন মোহাম্মদ দিদার :কুমিল্লার দাউদকান্দিতে শান্তা বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ...