সৌদি আরব / ৬ অক্টোবর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)———-
অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রিতি, অসামাজিত কার্যকলাপের মধ্যদিয়ে যারা বিদেশের মাটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করে আসছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলো আব্দুল মতিন।
বৃহস্পতিবার সকালে এ দরনের অভিযোগ এনে সৌদিআরব এর Afras Trading & Contracting Company
এর শ্রিমকরা আটক করেছে ওই কোম্পানীর জেনারেল সুপারভাইজা আবদুল মতিনকে , পরে কোম্পানীর পরিচালকের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
জানা যায়, আব্দুল মতিন গত কয়েক বছর আগে সৌদি আরবে আসেন এবং একটি বলদিয়া কোম্পানিতে চাকরী নেন। ওই সময় অনিয়ম, দুর্নীতি, অসামাজিত কার্যকলাপের জন্য কোম্পানি তাকে দেশে (বাংলাদেশে) পাঠিয়ে দেন। তারপর ওনি সামামা গ্রুপ নামে একটি কোম্পানিতে দ্বিতীয় বার আসেন , সামামা গ্রুপ এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে Afras Trading & Contracting Company এর
সুপারভাইজার পদে চাকুরী নেয়। আব্দুল মতিন চাকুরীতে জয়েন্ট করার কিছু দিন পর ওই কোম্পানীর জেনারেল সুপারভাইজার চাকুরী ছেড়ে দেশে চলে যান। পরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোম্পানীর জেনারেল সুপারভাইজার পদে নিয়োগ লাভ করেন আবদুল মতিন । ক্ষমতা পেয়ে মতিন শুরু করে অনিয়ম, দুর্নীতি,স্বজনপ্রিতি ও অসামাজিক কার্যকলাপ।
যদি কোন শ্রমিক ডিউটি বদলানোর কথা বলতেন তখন চাহিদা মত ৫০০-১০০০ সৌদি রিয়াল (ঘোষ) মতিনকে দেওয়া লাগতো। তার চাহিদা মত টাকা না দিলে ডিউটি বদলানো যেতনা, তাই শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে টাকা দিতে হতো। টাকা নেয়ার সময় সে আবার বলে নিতেন যদি কাওকে বলছ তাহলে পর দিন থেকে তোমার চাকুরী শেষ। দেশে ছুটিতে যাওয়ার জন্যে মতিনকে দিতে হত ১০০০-২০০০ হাজার সৌদি রিয়াল। টাকা না দিলে দেশে আসার ছুটিও জুটতো না শ্রমিকদের কপালে। মহিলা শ্রমিকদের দিয়ে করাতেন অসামাজিক কার্যকলাপ। তার কথার বাহিরে কেউ কাজ করলে ওই ব্যাক্তিকে কোম্পানীর অন্য ব্রাঞ্চে বদলি করিয়ে দিতেন।
বদলির ভয়ে কেউ কখনো মতিনের বিরুদ্ধে মুখ খুলার সাহস পায়নি। শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা দার নিয়ে না দেওয়া সহ অনেক দুর্নীতির সাথে মতিন জড়িয়ে পরেন। আবদুল মতিন বিশেষ করে এ দরনের কার্যকলাপ করতেন বাংলাদেশের শ্রমিকদের সাথে। পাপ বাপকেও ছারেনা ! শ্রমিকরা তার অত্যাতাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একযোগ হয়ে কোম্পানীর পরিচালকের পিএস সুমনের মাধ্যমে বিষয়টি পরিচালককে অবহিত করেন। পরিচালক ওই মতিনের দুর্নীতি ও অসামাজিক কাজের প্রমান পাওয়ায় তাকে দেশে (বাংলাদেশে) পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এ খবর মতিনের কাছে পৌছলে সে বৃহস্পতিবার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শ্রমিকরা তাকে আটক করে এবং মতিনকে মারদর করে। খবর পেয়ে কোম্পানীর পরিচালক এসে মতিনকে উদ্দার করে এবং দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য কোম্পানীর হেড অফিসে নিয়ে যায়। মতিনকে নিয়ে যাওয়ার সময় শ্রমিকরা তার বিচারের দাবীতে মিছিল দেন। শ্রমিকরা ওই দুর্নীতিবাজ মতিনের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন এবং বলেনএ দরনের ঘাতকদের জন্য সৌদিআরব আজ আমাদের বাংলাদেশের ভিসা বন্ধ করে দিয়েছে। আবদুল মতিন ব্রাহ্মণবাড়িয় জেলা আখাউরা উপজেলার নয়াদিল গ্রামের আবদুল আলীমের ছেলে।
(শাহরিয়ার আজ্জাম কবির, সৌদিআরব থেকেঃ)