মেঘনা / ৬ অক্টোবর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)———-
কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার রুপকার ও স্থপতি এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল আলমকে প্রকাশ্যে মেঘনার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোঃ মহিউদ্দিন মহি মানিকারচর গ্রামের গোয়ালবাড়ী মোড় এলাকায় পথরোধ করে গালাগাল ও হামলার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৪ অক্টোবর মুগারচর আঃ মতিনের বাড়ি হইতে দাওয়াত খেয়ে উপজেলা পরিষদে ফিরার পথে এমপি সুবেদ আলী ভূইয়া এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল আলমের গাড়ী বহরকে সন্ত্রাসী কায়দায় পথরোধ করে দাড়ায় মেঘনার শীর্ষ সন্ত্রাসী মানিকারচর গ্রামের মোঃ মহিউদ্দিন মহি। থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ অক্টোবর কাশিপুর গ্রামের মোঃ সাইফুল মেঘনা বিল্ডার্স লিঃ এর ক্যাশ ২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে মেঘনা উপজেলার পরিষদের কাছে নিজস্ব অফিসে ফেরার পথে মানিকারচর বাজারে শাহজাহানের মিষ্টি দোকানে নাস্তা খাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা সাইফুলকে মারধর করিয়া ২ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ছিনাইয়া নিয়া যায়। এই ব্যাপারে সাইফুল মেঘনা থানাতে একটি অভিযোগ দায়ের করে। যার কারনে সন্ত্রাসী মহি উপজেলা চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গাড়ি বহরের পথরোধ করে। মুগারচর গ্রাম থেকে দাওয়াত খেয়ে ফিরার পথে সন্ত্রাসী মহি, তাহার ভাই মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ মুকবিল উপজেলা চেয়ারম্যানকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও শারিরীক হামলার চেষ্টা চালায়। মেঘনা থানার ওসি মোঃ নাসিমউদ্দিন ও এস আই মোঃ জালালউদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স এবং কুমিল্লা উত্তর যুবলীগের শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক মোঃ শাহ আলম এর দলবল নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও এমপি সুবেদ আলী ভূইয়া গাড়ি বহরের লোকজনদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে। বিএনপি শাষনকালে সন্ত্রাসী মহি বহুদিন জেলহাজতে থাকায় স্থানীয় মানুষ শান্তিতে ছিল। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর জামিনে এসে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে টেন্ডার বাজি, মানুষের জায়গাজমি দখল, সোনালী ব্যাংক হইতে টাকা নিয়ে গ্রাহকেরা বাড়ি ফিরার পথে ছিনতাই। দোকানপাটে চাঁদাবাজিসহ নানা প্রকার অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। সাধারন মানুষ মহির অত্যাচারে অতিষ্ট। মহির বিরুদ্ধে থানা পুলিশ করেও কোনো ফল না পেয়ে মেঘনার মানুষ সন্ত্রাসী মহি গ্রুপের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে। দিন এবং রাত চন্দনপুর টু রাধানগর রাস্তা, মানিকারচর টু আলীপুর রাস্তা, রামনগর ছয়আনী টু রামপুর রাস্তা সন্ত্রাসী গ্রুপের দখলে থাকে। মহি গ্রুপ মটর সাইকেল নিয়ে দিন রাত রাস্তাগুলি ছিনতাই ও নানা প্রকার অপরাধ করে থাকে। সাধারন মানুষ মহি গ্রুপের ভয়ে থানায় কোনো প্রকার অভিযোগ করে না। থানার ভিতরেও মহি গ্রুপের দহরম মহরম থাকাতে সাধারন মানুষ পুলিশের আশ্রয় নিতে চায় না। গত ৮ ফেব্রুয়ারী যুবলীগের নেতা মোঃ মজিবুর রহমানকে প্রকাশ্যে মহি গ্রুপ মানিকারচর বাজারে মারধর করে টাকা পয়সা ছিনতাই করে। এই ব্যাপারে থানাতে মামলা রুজু হওয়ার পরও রহস্যজনক কারনে সন্ত্রাসী মহি গ্রেফতার হয় নাই। গত ২০ জানুয়ারী রামনগর ছয়আনী গ্রামের ঠিকাদার মোঃ জামাল মেম্বারের পুত্র মোঃ সোহাগের নিকট হইতে ৫ লাখ টাকা ছিনতাই করে মহি গ্রুপ। মানিকারচর বাজারে অবস্থিত ডাচ বাংলা মোবাইল ব্যাংকে মহি গ্রুপ ডাকাতি করে কম্পিউটারসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। নানা ঘটনায় মেঘনা থানাতে মামলা হওয়ার পরও গ্রেফতার না হওয়ায় মহি গ্রুপ বেপরোয়া হয়ে পড়ে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, জায়গা জমি দখল ও নানা প্রকার হয়রানীর ফলে মেঘনাবাসি দিশেহারা। ১৯৮৮ সালে দাউদাকান্দি, গজারিয়া, হোমনা, তিতাস, আড়াইহাজার উপজেলার মানুষ একত্রে মিলে মানিকারচর ও শিকিরগাঁও গ্রামের চোর ডাকাতদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে দুটি গ্রাম পুড়ে ফেলে ছিল। অত্র অঞ্চলের মানুষ মানিকারচর ও শিকিরগাঁও গ্রামের চোর ডাকাতের অত্যাচারে আগের মতো অতিষ্ঠ। সূত্র জানায়, ১৯৮৮ সালের মতো কোনো অঘটন ঘটিয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকতে পারে। মহি মানিকারচর গ্রামের শীর্ষ ডাকাত তিল্লা ডাকাতের নাতি। মুক্তিযোদ্ধের সময় ডাকাতিকালে বন্ধুক যুদ্ধে তিল্লা ডাকাত নিহত হয়। সন্ত্রাসী মহি গ্রুপের অত্যাচারে মেঘনায় আওয়ামীলীগের ভাবমুর্তি ক্ষতি হচ্ছে। মহি নিজেকে যুবলীগের নেতা পরিচয়ে নানা অপকর্ম করে বেড়ায়। সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে স্থানীয় মানুষের অভিমত। তা না হলে ১৯৮৮ সালের মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্র জানায়।
(মোঃ ইসমাইল হোসেন মানিক,মেঘনা প্রতিনিধি)