শামসুজ্জামান ডলার,মতলব (চাঁদপুর):
চাঁদপুরের নদীঘেড়া মতলব উত্তর উপজেলার পূর্ব অংশে সড়ক পথে ঢাকার সাথে যোগাযোগ বাড়ায় কালীরবাজার-বাউশিয়া রুটের লঞ্চ মালিক শ্রমিকদের এখন দুর্দিন । উপজেলার বাংলাবাজার- শ্রীরায়েরচর ব্রীজ চালুর পর থেকে মতলব উত্তর উপজেলা, মতলব দক্ষিন উপজেলাসহ চাঁদপুর জেলার কয়েকটি উপজেলার লোক এই ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করছে। ফলে কালীর বাজার-বাউশিয়া নৌপথে ছোট লঞ্চে লোক যাতায়াত একদম কমে যাওয়ায় লঞ্চমালিক ও শ্রমিকরা এখন খুবই বিপাকে পড়েছে।
কালির বাজারের কয়েকটি ছোট লঞ্চ মালিকের সাথে আলাপ হলে তারা জানান, বাংলাবাজার- শ্রীরায়েরচর ব্রীজ চালু হওয়ার পর এই রুটে লোকজন খুবই কম যাতায়াত করছে। তাই খুবই কম যাত্রী নিয়ে নির্ধারিত সময়েই লঞ্চ ছাড়তে হয়। তাছাড়া তেলের দামও এখন অনেক বেড়েগেছে। অন্যদিকে, দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতির ফলে লঞ্চের মাষ্টার, সারেং ও লস্করসহ অন্যান্য কর্মচারীদের বেতন বেশি দিতে হচ্ছে। দেখা যায় কোন দিন কালির বাজার-বাউশিয়া দুইবার আসা যাওয়ার পর শ্রমিক ও তেলের দাম দিয়ে সমান সমান হয়। আবার কোন দিন কিছু ঘাটতি বা কখনো সামান্য কিছু লাভ পাওয়া যায়। দেখাযায়, অনেক টাকা বিনিয়োগের এ ব্যাবসা থেকে গড়ে প্রতি মাসে খরচ শেষে লাভ আসে মাত্র ৫-৬ হাজার টাকা। আর সামান্য এই আয় দিয়ে সংসার চালানো বড় কষ্ট হয়ে যায়। ছেলে মেয়েদের স্কুলে লেখাপড়ার জন্য বাড়তি খরচ চালাতে হয় নিজেকে অন্য কোন মাধ্যমে। কিন্তু একটি লঞ্চ তৈরী করতে বা ক্রয় করতে খরচ হয় প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। এখন কালির বাজার-বাউশিয়া নৌপথে ব্যবসা মন্দ হওয়ার কারনে লঞ্চ বিক্রি করাও সম্ভব হচ্ছে না। সব মিলিয়ে আমরা মালিক-শ্রমিকরা মিলে বড় কষ্টে দিন যাপন করছি। এভাবে চলতে থাকলে ও দিনের পর দিন তেলের দাম বৃদ্ধি হলে শ্রমিকদের বেতন বাড়লে লঞ্চ টার্মিনালে অথবা ডগে রেখে পথে বসতে হবে।
অন্যদিকে, এ রুটের কয়েকজন শ্রমিকের সাথে কথা বলতেগেলে তারা জানায়, ভাই আমরা এই ছাড়া অন্য কোন কামও জানি না। তাছাড়া অন্য রুটের লঞ্চে যে জামু হেই সুযোগও পাইতাছিনা। এই কামের শ্রমিক সব জায়গাই ভরপুর আছে।