মেঘনা/ সেপ্টেম্বর ১০ (কুমিল্লাওয়েব ডটকম)—–
কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের মৃত মোঃ চাঁন বাদশা গতকাল রোববার জীবিত বাড়ী ফিরেছে। এলাকাবাসী মৃত চাঁন বাদশাকে একনজর দেখতে হুমরি খেয়ে পরে মেঘনা থানার আশে পাশে। এখন জনমনে প্রশ্ন তাহলে কুমিল্লা মর্গে পাঠানো লাশটি কার? ঘটনার বিবরনে জানা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর বাবা মার সাথে রাগ করে কাউকে কোনো কিছু না জানিয়ে বাড়ী থেকে চলে যায় চন্দনপুর গ্রামের সোলায়েমানের পুত্র মোঃ চাঁন বাদশা (২০)। এদিকে তার বাবা মা ছেলেকে নানা জায়গায় খোজাখোজি করে গত ৫ সেপ্টেম্বর মেঘনা থানাতে একটি জিডি করে। জিডি নং-১৪৮ তাং-৫/৯/২০১২ইং। তিনদিন অতিবহিত হওয়ার পর গত ৮ সেপ্টেম্বর আলগীর গ্রামের ধান ক্ষেতে একটি অজ্ঞাত অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করিলে অর্ধগলিত লাশের হাতের আঙ্গুলে দুটি আংটি দেখে পিতা মোঃ ছোলায়েমান লাশটি তার ছেলের বলে শনাক্ত করে। লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ কুমিল্লা মর্গে পাঠায় এবং থানাতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং-২ তাং-৮/৯/২০১২ইং। হত্যা মামলায় এলাকার ১০ জনকে আসামী করা হয়। মেঘনা থানায় হত্যা মামলা রুজুর পরের দিন মোঃ চাঁন বাদশা ঢাকাতে তার মামার শাহজাহানপুর বাসায় দুই বন্ধুসহ আসলে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। চাঁন বাদশা জানান, সে এবং তার দুই বন্ধু আরিফ ও জুয়েল একসাথে গোপনে গ্রামের বাড়ী ছেড়ে গত ৩ সেপ্টেম্বর সিলেটের নানা জায়গা ঘুরে ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকাতে শাহজাহানপুর মামার বাসাতে উঠে। ঢাকায় তার মামার বাসায় উঠলে ঘটনাটি জানাজানি হয়। তার মামাতো ভাই বাবুল মোবাইল ফোনে ঘটনাটি এলাকায় জানাইলে সাথে সাথে মেঘনা থানাকে অবহিত করা হয়। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে এলাকার মানুষ তাকে এক নজর দেখতে অধির আগ্রহে কসে থাকে। অবশেষে চাঁন বাদশা স্বশরীরে ৯ সেপ্টেম্বর মেঘনা থানাতে হাজির হয়। অফর দিকে কুমিল্লা থেকে বেওয়ারীশ লাশটি মেঘনা থানায় পৌছলে বেওয়ারিশ লাশটির জানাজা শেষে মানিকারচর গ্রামের গোরস্থানে দাফন করা হয়। মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাসিমউদ্দিন জানান, তথ্যগত ভুলের কারনে এমনটি হয়েছে। লাশটির হাতের দুটি আংটি দেখে চাঁন বাদশার পিতার শনাক্তকরনে তথ্যগত ভুলে মামলা ও জিডি হয়েছে। আমারা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। অজ্ঞাত লাশটির পরিচয়ের জন্য আমারা সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
(মোঃ ইসমাইল হোসেন মানিক, মেঘনা প্রতিনিধি)