
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ও দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ড্রাষ্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) দু বারের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ বলেছেন, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে দল ও মতের উর্ধ্বে উঠে উন্নয়নের জন্য বাস্তবে ফলপ্রসু কাজ করলেই কেবল একটি জাতি বা গোষ্ঠির সামাজিক, অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নতি করা সম্ভব। তিনি মুরাদনগরবাসীদেরকে আহবান করে বলেন, আসুন এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে হিংসা বিদ্বেষ ভূলে সবাই মিলে দলমতের উর্ধ্বে উঠে আমরা একত্রে কাজ করি। ফলক উন্মোচনের রাজনীতি আমি বিশ্বাস করিনা, আমি সর্বস্তরের জনগনের মধ্যে বাস করতে চাই, তাই আজীবন নিরবে কাজ করে যাবো। শনিবার নিজের গড়া মুরাদনগরের কুড়ের পাড় ডিগ্রী কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নবীন বরন ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা-বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের সভাপতির ভাষণে তিনি উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, যেহেতু আমি এলাকার সংসদ সদস্য নই সেহেতু মুরাদনগরের উন্নয়নে তেমন কোন অবদান রাখতে পারি নাই। তার পরেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরুধ করে বিগত দিনে অত্র এলাকায় আমি ৩০ টি রাস্তা পাকাকরনের কাজ, ৭০ টির মতো ব্রীজ-কালভার্ট নির্মানের কাজ করাতে পেরেছি। সেই গুলোর কাজ এখনো চলছে। মুরাদনগরের সেই মান্ধাতার আমলের পুরাতন টেলিফোন ব্যবস্থাকে বাদ দিয়ে ডিজিটাল টেলিফোনের ব্যবস্থা করেছি যার সুবিধা এখন আপনারা ভোগ করছেন। এই কলেজ নির্মাণ ও পরিচালনার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল হতে ১ কোটি টাকা ব্যয় করেছি। এমনকি আগামী ১ বছরের মধ্যে উক্ত কলেজের সার্বিক অবকাঠামো উন্নয়ন করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ আমি গ্রহণ করব। আলোচনা সভার শুরুতে উদ্ধোধক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন, মুরাদনগর আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংসদ অধ্যক্ষ জোবেদা খাতুন পারুল, উদ্ভোধনীর ভাষণে তিনি বলেন, মুরাদনগরের মানুষের ভাগ্য ভাল যে, ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের মতো একজন সু-দক্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তি পেয়েছে। তিনি পাশাপাশি আরো বলেন, মুরাদনগর বাসীর আরএকটি কলঙ্ক হল, বাংলার নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণে মেরে ফেলার লক্ষ্যে ২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনাকারীও এই মুরাদনগরের। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রশাসক ওমর ফারুক। প্রধান অতিথির ভাষণে ওমর ফারুক কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, তারা যেন ছাত্রছাত্রীদের মাঝে মুক্তিযোদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিষ্টার মোঃ আবু হানিফ, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক ব্যারিষ্টার জাকির হোসেন, মুরাদনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কায়ছারুল আলম, সামছুজ্জামান স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সামছুজ্জামান, অত্র কলেজের গভর্নিং বোর্ডের সভাপতি আলহাজ্ব ইব্রাহিম সরকার, বলিঘর হুজুরীশাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহনাজ পারভীন সরকার, মেটংঘর ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুল হান্নান, বাংগরা উমালোচন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব রহমান, পীর কাশিমপুর আরএনএন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম প্রমুখ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সরকার, মুরাদনগর উপজেলা যুবলীগ আহব্বায়ক খায়রুল আলম সাধন, মুরাদনগর উপজেলা আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শরিফুল আলম চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, ইউনুছ মিয়া মুন্সী, কাদের মিয়া, জামাল হোসেন মাষ্টার, প্রভাষক সাইফুল ইসলাম রাজীব ও ইউপি সদস্য নায়েব আলী প্রমুখ।