জামাল উদ্দিন স্বপন:
মনোহরগঞ্জে মৌসুমের শুরুতেই ডাকাতিয়ার শাখা খাল সমূহে পানি না থাকায় একমাত্র ফসল ইরি-বোরো চাষ মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- ডাকাতিয়া নদীতে পানি থাকলেও পানিশূন্য হয়ে পড়েছে শাখা খাল সমূহ। এ নদীর প্রধান শাখা নদনা, ঘাঘৈর, কার্জন খাল সহ অন্যান্য খালে পানি না থাকায় খাল পাড়ের হাজার হাজার দিশেহারা কৃষক ইরি-বোরো চাষ নিয়ে শংকিত। যে সময়ে খাল ভর্তি পানি থাকার কথা সে সময়ে শিশুরা ফুটবল খেলছে খালের ভিতরে। খাল পরিনত হয়েছে ফুটবল মাঠে। স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়- এলাকায় মোট আবাদি জমির পরিমান ১০ হাজার ২’শ হেক্টর। এর মধ্যে ১০ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ হয়। জলাঞ্চলখ্যাত এখানকার কৃষক একটি মাত্র ফসল ইরি-বোরো চাষের উপর নির্ভরশীল। এ ফসল উৎপাদনে কোন ব্যঘাত ঘটলে সারা বছর কষ্ট করতে হয় কৃষকদের। স্থানীয় কৃষক আলী আজম জানান- এখনো ইরি চারা রোপন শেষ হয়নি। এ মুহুর্তেই পানি সংকট, বাকী সময় আমরা কি করব তা আল্লাহ-ই ভাল জানেন। মড়হ গ্রামের মেশিন মালিক (সেচ মেশিন) আমান উল্লা জানান- মৌসুমের শুরুতে খাল শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা নিজেদের পুকুর, নিচু গর্ত থেকে পানি সেচ দিয়ে ইরি চারা রোপন করছে। কেউ কেউ পানি কিনে জমিতে দিচ্ছেন। এভাবে মেশিন দিয়ে পানি সেচ দেওয়া অত্যন্ত ব্যয়-বহুল হলেও আপাতত এভাবেই রোপন করতে হচ্ছে ইরি চারা। স্থানীয় লোকদের মতে- বর্ষায় পলি জমে খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। খাল খননের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে অনেকেই ধারনা করেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোঃ তাজুল ইসলাম জানান- কৃষকদের সুবিধার জন্য ডাকাতিয়া নদীর মূখে বাঁধ দিয়ে পল্টন বসিয়ে (মটর পাম্পের সাহায্যে পানি সেচ) পানি উপরের দিকে উঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, শীঘ্রই পানি বঞ্চিত কৃষকরা পানির সুবিধা পাবেন।