আরিফুল ইসলাম সুমন ॥
অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলের পুটিয়া নদীর সেই বাঁধটি অপসারণ করলেন উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহে দুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকেরা পুটিয়া নদীর ধরন্তী হাওর এলাকায় গিয়ে বাঁধ অপসারণ করেন। এসময় নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, নদীতে এই বাঁধের কারণে হাওর এলাকায় ফসলি জমিতে কৃষকেরা সেচ দিতে পারছে না। নদীতে বাঁধ দিয়ে মৎস্য নিধনকারী সেই সুবিধাভোগী প্রভাবশালীদের ইঙ্গিত করে ইউএনও বলেন, বৃহত্তর জনস্বার্থ বিষয়ে কেউ হস্তক্ষেপ করলে ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে ইউএনও’র এই উদ্যোগে হাওর এলাকার শত শত কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। দীর্ঘ বছর পর একটা চরম দূর্ভোগ থেকে রক্ষা পেল হাজারো কৃষক এমন মন্তব্যও করেছেন অনেকে। মঙ্গলবার হাওর এলাকায় উপস্থিত শতাধিক কৃষক জানান, এই অবৈধ বাঁধটি সরিয়ে নিতে গত তিন বছর যাবৎ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ সহ প্রতিবাদ করেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। উপজেলার শীর্ষ জনপ্রতিনিধির কাছে বহুবার ধর্ণা দিয়েছি। তাঁরা বিষয়টি গুরুত্বই দেননি। কৃষকেরা বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাঁধটি অপসারণ করে প্রমাণ করেছে আইনের ঊর্ধ্বে কেউ-ই নয়।
এলাকাবাসী জানান, হাওর এলাকার জলমহাল ইজারাদার প্রভাবশালী পরিমল চন্দ্র দাস ও জজ মিয়া ক্ষমতার দাপটে এ বাঁধকে পুঁজি করে দীর্ঘ বছর যাবৎ নদীর পানি সেচ দিয়ে নির্বিচারে মৎস্য নিধন করে আসছে। সম্প্রতি নদীর এ বাঁধ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে প্রশাসন নড়েচড়ে উঠেন।