মোঃ শরিফুল আলম চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) থেকে :
উপজেলার কাজিয়াতল-দারোরার বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল দশায় বেকায়দায় পড়েছেন হাজার হাজার পথচারী যান চালকেরা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। দারোরা, ছালিয়াকান্দি, ধামঘর, পাহাড়পুর, বাবুটিপাড়া ও জাহাপুর এই ছয়টি ইউপির হাজার হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক কাজিয়াতল-দারোরা। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত স্কুল কলেজ গামী ছাত্রছাত্রী ছাড়াও ঢাকা সহ দেশের জেলা ও বিভাগীয় শহর এলাকার মানুষ যাতায়াত করে।
কাজিয়াতল-দারোরা সড়ক সংস্কারের অভাবে যানবাহন চলাতো দূরের কথা মানুষ পায়ে হেটে চলাচলেরই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলার অযোগ্য সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় অসংখ্য দূর্ঘটনা। যার ফলে বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের দূর্ভোগের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা পড়েছে বেকায়দায়। অত্র উপজেলার ছয়টির ইউপির উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল, মাছ, রেনু পোনা এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাহিরে জেলায় এই সড়ক দিয়ে সরবরাহ করা হয়। এসব দেশীয় পন্য সরবরাহে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখছে। তরুন মাছ চাষী আলম মিয়া সহ অসংখ্য মাছ চাষী ও ব্যবসায়ীরা জানান, পুকুরে উৎপাদিত মাছ এই সড়ক দিয়ে মাছের গাড়ি নিয়ে রাস্তাঘাটের কারণে তারা বড় ধরনের বেকায়দায়দার মধ্যে রয়েছে। রাস্তার বেহাল দশায় অতিরিক্ত পরিবহন খরচের কারণে এখানকার উৎপাদিত পন্য কেনার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখায় না। এছাড়া কাজিয়াতল-দারোরা সড়কগুলো বেহাল দশার কারণে সব শ্রেণীর মানুষই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে জানান, অধিকাংশ সড়কগুলো কারপেটিং করা প্রয়োজন। কিন্তু এই সরকারের তিন বছরে এই উপজেলার উল্লেখিত অঞ্চলগুলো তেমন উল্লেখযোগ্য যোগাযেগ খাতে উন্নয়ন কাজ না করলেও সংবাদ সম্মেলনে প্রায় শত শত কোটি টাকার কাজ করার ঘোষণা প্রদানের বিষয়টি জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। মুরাদনগর উপজেলার সকল শ্রেণী মানুষের দাবী কাজিয়াতল-দারোরা সড়কের উন্নয়ন করে বেহাল দশা থেকে মুক্তি দেওয়া জন্য।