শাহপুর দরবারের জায়গা দখলের অভিযোগ

কুমিল্লা ওয়েব ডট কম :

কুমিল্লার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শাহপুর দরবার শরীফ ও এর আশেপাশের সরকারী জায়গা দখলের অপচেষ্টা চালাচেছ একটি প্রভাবশালী মহল। ২ শতাধিক বৎসর পূর্বে কুমিল্লা কোতয়ালী থানাধীন পাঁচথুবী ইউনিয়নের অন্তর্গত শাহপুর মৌজার সাবেক ২১৮নংও হাল ৪০৫ নং দাগ এর সম্পত্তির উপর হযরত শাহ নুরুদ্দীন আল-কাদেরী(রা:) প্রকাশ্যে হযরত বন্দীশাহ(রা:)এঁর মাজার অবস্থিত।এখানে একটি জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা আছে।

শাহপুর দরবারের সদস্য সচীব আলহাজ্ব শাহজাদা মাহবুব ইলাহ বলেন,আমার পিতা হযরত শাহসুফি আব্দুস সোবহান আলক্বাদেরী (রা:) ১৯২১ সালে হযরত বন্দীশাহ (রা:) এর আস্তানায় আসেন। দীর্ঘকাল অযতেœ পড়ে থাকা হযরত বন্দীশাহ এর মাজার ও জড়াজীর্ন মসজিদটি তিনি সংস্কার করেন। তিনি এখানে কাদেরীয়া তরিকা মতে আধ্যাতিœক শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে তুলেন যাহা সংক্ষেপে “খানেকায়ে সোবহানীয়া শাহপুর দরবার শরীফ” নামে পরিচিত।

হযরত শাহ সুফি আব্দুস সোবহান আলকাদেরী (রাঃ) ১৯৫৫সালে এন্তেকালের পূর্বে তাঁর বড় ছেলে শেখ শাহজাদা মুহাম্মদ পিয়ারা আল ক্বাদেরীকে গদ্দীনশীন পীর করে দরবার পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে যান। হজরত শাহ সোবহান আলকাদেরী (রাঃ) কে হজরত বন্দীশাহ এর মাজারের পাশেই (২১৮ নং দাগের স্থানে ) সমাহিত করা হয়।

শাহজাদা মাহবুব ইলাহ ১৯৬০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দরবার কমিটির সচিব হিসেবে দরবারের সকল কর্মকান্ড পরিচালনায় সম্পৃক্ত আছেন।

ড: আহমদ পেয়ারার ইন্তেকালের পর পরই পূর্ব থেকে একটি দুষ্টচক্র দরবার দখলের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ভাবে দরবারের আওলাদগন কর্তৃক গঠিত কমিটিকে হয়রানি করিতেছে এবং দরবারে প্রতিষ্ঠা লগ্ন হইতে পরিচালিত নিয়ম কানুন, মাহফিল ও ধর্মিয় অনুষ্ঠানাদি পরিচালনায় নানাহ ভাবে বাধার সৃষ্টি করিতেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক এল এ কেইস নং-৪২/৫৬-৫৭ইং এবং এস এল এ কেইস নং- ১৩/৭০-৭১ এর মাধ্যমে অধিগ্রহনকৃত । সাবেক ২১৭,২১৯,২২০ ও ২২১ দাগের সম্পত্তি বিগত ৯১ বৎসর যাবত দরবারের ধর্মীয় কাজে ব্যবহার হয়ে আসিতেছে। ড.মোহাম্মদ আবুল হোসেন গাওস পেয়ারীর নামে কেইস নং ১৩৩৩৯/০৯ এর মাধ্যমে ২১৭,২১৯,২২০,২২১দাগের ভুমিও খাস সরকারী ২১৮ নং দাগের সম্পত্তির ভুয়া খতিয়ান নিজের নামে তৈরি করে নেয়। ড.মোহাম্মদ আবুল হোসেন দরবার দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। আবুল হোসেন ২৫/৩০ জন বিতর্কিত ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে দরবারের বিরুদ্ধে জোরদারভাবে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। দরবার হস্তগত করতে পারলে এটিকে একটি চাঁদাবাজির আখড়ায় পরিনত করবে। এ অভিযোগ সম্পর্কে মোহাম্মদ আবুল হোসেনের সাথে একাধিকবার যেগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায় নি। বাংলাদেশ সরকার এই জাল খতিয়ানের কথা জানতে পেরে কেইস নং ১৪৭১১/১১এর মাধ্যমে খতিয়ান সংশোধন করে ২১৮ দাগের সম্পত্তি ১নং সরকারী খাস খতিয়ানের অর্ন্তভুক্ত করে নেয়। উল্লেখ্য মসজিদ ও মাজারের পুর্ব পার্শের ২০৯ দাগের সম্পত্তি ও উত্তর পার্শের ১৯৯ দাগের সম্পত্তি সরকারের ১নং খাস খতিয়ানের অর্ন্তভুক্ত। তাই ২১৮, ২০৯,১৯৯ দাগের সম্পত্তি কোন ব্যক্তির সম্পত্তি নয়। সরকারের এ খাস সম্পত্তি বিগত ৯১বৎসর যাবত দরবারের কাজে ব্যবহার হচ্ছে ।

Check Also

কুমিল্লায় তিন গৃহহীন নতুন ঘর পেল

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ– কুমিল্লা সদর উপজেলায় গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে ৪নং আমড়াতলী ইউনিয়নের গৃহহীন নুরজাহান বেগম, ...

Leave a Reply