কে এম মাসুদ, চাঁদপুর :
চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথকে অত্যাধুনিক করতে ১০৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার কাজ চলতি জানুয়ারি মাসেই শুরু হচ্ছে। মধুরোড রেল স্টেশনকে রি-মডেলিং করার মধ্য দিয়ে এ কাজ শুরু হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে সেখানে ডাবল লাইন বসানোর জন্যে মাটি ফেলার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশিষ্টরা। চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথে বহুদিন যাবৎ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জরাজীর্ণ রেললাইন ও স্টেশন ভবন এবং লোকবল সঙ্কট অনেক বছর যাবৎ চলে আসছে। ঝুঁকিপূর্ণ এই লাইনে ট্রেন চলাচল করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনাও ঘটে। দীর্ঘকাল পর অবশেষে এই রেলপথকে সংস্কারে মনোনিবেশ করে বর্তমান সরকার। একই সাথে এই রেলপথ ও স্টেশনগুলোকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। নানা সার্ভের পর ১শ’ ৯০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয় একনেক সভায়। এরই মধ্যে ১০৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকার টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার সম্পন্ন হয়। কাজ পায় মেসার্স কালিন্দি রেল নির্মাণ নামে ইন্ডিয়ান একটি কোম্পানি। মধুরোড রেলস্টেশনকে আধুনিকায়নের মধ্য দিয়ে চাঁদপুর-লাকসাম রেললাইন সংস্কারের কাজ শুরু হবে। জানা গেছে, এই স্টেশনকে বি শ্রেণির স্টেশনে রূপান্তর করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে সেখানে রেলক্রসিং করা হবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ডাবল লাইন বসানোর জন্যে সেখানে মাটি ফেলার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) মোঃ লিয়াকত আলী। তিনি জানান, মধুরোড রেল স্টেশনটি সম্পূর্ণ নতুনভাবে করা হবে। বর্তমানে এটি খুবই নাজুক অবস্থায় আছে। প্লাটফর্মে বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। যাত্রীদের ট্রেনে ওঠানামা করতে খুবই অসুবিধা হয়। তাছাড়া টিকিট বুকিং রুমের চাল চুঁয়ে পানি পড়ে। এদিকে মধুরোড রেল স্টেশনে যে লেবেল ক্রসিং রয়েছে সেটির কোনো বৈধতা নেই বলে জানিয়েছেন সংশিষ্টরা। মহামায়া থেকে ছোটসুন্দর-রামপুরমুখী রাস্তাটি এই স্টেশনের ওপর দিয়ে চলে গেছে। আগে এই রাস্তা দিয়ে হালকা ও কম যানবাহন চলাচল করতো। সেজন্যে এই লেবেল ক্রসিংটি তেমন একটা ঝুঁকির বিষয় ছিলো না। কিন্তু এখন রামপুর এলাকায় কয়েকটি ব্রিকফিল্ড হয়ে যাওয়ায় এবং ডাকাতিয়া পার হয়ে ফরিদগঞ্জ অংশে ব্রিকফিল্ড হওয়ায় এখন প্রায়ই এই সড়ক দিয়ে ৮/১০ টনের মাল নিয়ে ট্রাক সহ ভারী যানবাহন আসা-যাওয়া করে। এজন্যে এই লেবেল ক্রসিংটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। যে কোনো সময বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান সংশিষ্টরা। এছাড়া এই লেবেল ক্রসিংটিতে রেল কর্তৃপক্ষের কোনো বৈধতা না থাকায় এখানে কোনো রেলগেটও নেই, লোকও নিয়োগ নেই। রেল গেট না থাকায় দুর্ঘটনারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এলাকার জনগণ এবং রেলের সংশিষ্টরা মনে করেন, রেল কর্তৃপক্ষ এই লেবেল ক্রসিংটির বৈধতা দিয়ে সেখানে রেলগেট নির্মাণসহ লোক নিয়োগ করা প্রয়োজন। একই সাথে ভারী যানবাহন চলাচলের ব্যাপারেও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
Check Also
যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে : বিএনপি
চাঁদপুর প্রতিনিধি :– চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাধারণ সভায় বক্তারা বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম ...