শামসুজ্জামান ডলার, মতলব (চাঁদপুর) :
শিক্ষা কার্যক্রম চলছে মসজিদের বারান্দা ও কাচারী ঘড়ে
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ৪টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মান ছাড়াই ভেঙ্গেঁফেলা হয়েছে পুরনো ভবন। আর ঐ বিদ্যালয়গুলোতে অন্যকোন ভবন না থাকার কারনে বর্তমানে ঐ ৪টি স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে মসজিদের বারান্দা, কাচারী ঘড় ও যখন যেভাবে সম্ভব। উপজেলার চরওয়েষ্টার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি নদী ভাঁঙ্গনের কবলে পড়ার কারনে ভেঙ্গেফেলা হলেও বাকী ৩টি স্কুলের ভবন বিকল্প ব্যাবস্থা ছাড়াই ভেঙ্গেঁফেলা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। বিকল্প ব্যাবস্থা না করে ভেঙ্গেফেলা মোহনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৯২ , শিক্ষক সংখ্যা ০৭ জন আর স্কুলের ভবনটি ভেঙ্গেঁফেলা হয়েছে ২০১০সালের মার্চ মাসে। তালতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ২২১ জন, শিক্ষক সংখ্যা ০৫ জন আর ভবনটি ভেঙ্গেঁফেলা হয়েছে ২০১০সালের জানুয়ারী মাসে। ছোটহলদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৭০ জন, শিক্ষক সংখ্যা ০৪ জন আর ভবনটি ভেঙ্গেঁফেলা হয়েছে ২০১০ সালের জানুয়ারী মাসে এবং চরওয়েষ্টার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৬৬ জন, শিক্ষক সংখ্যা ০২ জন আর স্কুলের ভবন ভেঙ্গেঁফেলা হয়েছে ২০০৮সালের নভেম্বর মাসে। বর্তমানে এসব স্কুলের চেয়ার-টেবিল ও অন্যান্য ফার্নিচারগুলো পড়ে আছে খোলা আকাশের নীচে। আর খোলা আকাশের নীচে পড়ে থাকায় দিনে দিনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এসব আসবাবপত্রগুলো। উল্লেখ্য, এর মধ্যে মোহনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই কক্ষের একটি ভবন থাকলেও সেটি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির দখলে আছে।
খোজখবর নিয়ে দেখাযায়, বর্তমানে চরওয়েষ্টার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস চলে স্থানীয় একটি মসজিদের বারান্দায়, তালতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস চলে ওখানকার একটি কাচারী ঘড়ে, মোহনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস চলে স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে সকাল ৭.০০টা থেকে ৯.৩০মিনিট পর্যন্ত এবং ছোটহলদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস চলে স্থানীয় ব্যাবস্থাপনায় তোলা টিনের ঘড়ে।
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিকল্প ব্যাবস্থা না করে ঐ স্কুলগুলো ভেঙ্গেঁফেলার কারন জানতে স্থানীয় শিক্ষাসচেতন মহলের কয়েকজনের সাথে কথাহলে তারা স্পষ্ট করে বলতে না চাইলেও পুরনো ভবনটি নিলামে নিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে রাজনৈতিক কয়েকজন নেতার সুবিধা নেয়ার কথাই জানাগেছে। তবে কেউ কেউ আবার বল্লেন, সামান্যকিছু টাকা মুনাফার জন্য এমন গর্হিত কাজ করার বিষয়টি খুবই লজ্জাজনক ।
এ ব্যাপারে মতলব উত্তর উপজেলার শিক্ষা অফিসার মনিরুল হক বলেন, জরুরী ভিত্তিতে স্কুলগুলোর নতুন ভবন নির্মানের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে আশা করছি সহসাই নতুন ভবন নির্মান হবে।