শাহ্জাহান সাজু:
জয়নাল হাজারীকে এক নজর দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকেন কুমিল্লার অজপাড়া বরুড়া উপজেলার ঘোষপা গ্রামের জনগন। সপ্তাহব্যাপী আলোচনা ছিল জয়নাল হাজারী আসবে।
বছরের শেষদিন ৩১শে ডিসেম্বর সকাল থেকে বসে আছে গালিমপুর ইউনিয়নের হাজার হাজার নারী পুরুষ। প্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সাহিত্যিক শিক্ষানুরাগী ও বীরমুক্তিযোদ্ধা জনাব জয়নাল আবেদীন হাজারী তাদের এলাকায় আসবে কোন ভাবেই যেন বিশ্বাস করতে পারছেনা তারা। অবশেষে যখন পর পর তাকে শুভেচ্ছা জানানো গেইটগুলো অতিক্রম করে অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ায়র আগে মানুষ চিন্তে আর দেরী করেনি তাদের প্রিয় জয়নাল হাজারীকে। কাঁচাফুল ও ব্যাপক করতালীর মাধ্যমে জনাব জয়নাল হাজারীকে বরন করে নেয়। তিনি যখন ডায়াসে বসেন তখন যেন তিন্ইি প্রধান আকর্ষন। যখন বক্তৃতা শুরু করেন তখন পিন্পতন নীরবতা। মনোযোগ দিয়ে তার বক্তৃতা শুনে সকলে জনাব হাজারীর র্দীর্ঘায়ু কামনা করেন। মানুষের ভালবাসা মুগ্ধ হয়ে হাজারী অনেক আবেগ আপ্লুত হয়ে প্রতিষ্ঠানকে নগদে ৫০(পঞ্চার) হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। সাধারন মানুষের দাবী প্রিয় হাজারী যেন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করেন। তিনি আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠেন যখন একজন মুক্তিযোদ্ধার নামে একটি রাস্তা নামকরনের দাবী তোলেন। সাথে সাথে ওই এলাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.মালেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মরহুম ফিরোজ উদ্দিনের নামে নাম করনের প্রস্তাব করেন এবং উল্লেখিত কাঁচা রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে মরহুম ফিরোজ উদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন। জয়নাল হাজারীর গুনকীর্তন তুলে এডভোকেট বাসেত মজুমদার বক্তৃতা দিলে দর্শকবৃন্দ মনোযোগ দিয়ে শুনেন। উল্লেখ্য এডভোকেট বাসেত মজুমদারের নামেই ঘোষপা গ্রামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠা করেন ওই এলাকার স্বনাম ধন্য ব্যক্তি এডভোকেট নাসির উদ্দিন বাহার।