নাজমুল করিম ফারুক, তিতাস থেকে :
মঙ্গলবার ২৭ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় সরজমিনে হাসপাতালটি ঘুরে দেখা যায়, একজন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ছাড়া উপজেলা পর্যায়ে সকল ডাক্তার অনুপস্থিত পাওয়া যায়। খোজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ জুনিঃ কনঃ গাইনী ডাঃ কামরুন সাত্তার, জনিুঃ কনঃ সার্জারী ডাঃ জান্নাত পারভীন, জনিুঃ কনঃ মেডিসিন ডাঃ খাদিজা রহমান শিল্পী, মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ মাহমুদুর করিম, ডাঃ ওমর ফারুক, জুনিঃ কনঃ এ্যানেস ডাঃ এ.এম.এস রেজাউর রশীদ, ডেন্টাল সার্জন ডাঃ মোঃ বদরুল আলম কর্মক্ষেত্রে অনুপস্থিত রয়েছে। তবে অলৌকিকভাবে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর হয় এবং মাসিক বেতন উত্তোলন করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। কিছুক্ষণ পর জরুরী বিভাগে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আক্তার আলমকে পাওয়া যায়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকল ডাক্তার অনুপস্থিত প্রসঙ্গে ডাঃ মোঃ আক্তার আলম বলেন, ২ জন ডাক্তার এট্যাসম্যানে অন্যত্র আছেন। অন্য ডাক্তারা কোথায় জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেনি। তবে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে সহকারী সার্জন দিয়ে প্রতিদিন হাসপাতালের কার্যক্রম চালানো হয় বলে তিনি জানান। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিচালিত হলে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কি হবে জানতে চাইলেও বার বার তিনি প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত বলরামপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহকারী সার্জন ফারহানা রহমান শীমা জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মচারী জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়োগপ্রাপ্ত ডাক্তারগণ দীর্ঘদিন যাবৎ অনুপস্থিত। এ ব্যাপারে কোন তদারকি নেই। উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সহকারী সার্জন হিসেবে যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে প্রতিদিন তাদের মধ্যে থেকে একজনকে দিয়ে চালানো হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা ও জরুরী বিভাগ। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি নিজেও চিন্তিত। তবে শীঘ্রই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। এদিকে শুধু ডাক্তারাই অনুপস্থিত থাকেন তা নয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের মধ্যে অধিকাংশ ব্যক্তিই অনুপস্থিত। যে আশা ও প্রত্যাশা নিয়ে তিতাসবাসী উপজেলা প্রতিষ্ঠার পূর্বে হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে চিকিৎসা সুবিধা প্রাপ্তির প্রহর গুনছিল তা দীর্ঘায়িত হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জনমনে হতাশা বিরাজ করছে।