আলমগীর তালুকদার, কচুয়া, চাঁদপুর, ২৭ ডিসেম্বর :
গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার বুরগী গ্রামের মিজানের বাড়ীতে ১০/১২ জনের একটি ডাকাত দল আইনের পরিচয় দিয়ে জোর পূর্বক দু’টি গৃহে প্রবেশ করে গৃহের লোকজনদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নেয়। ওই ডাকাতি মামলার (নং- ১৪) আসামী হিসেবে শাহ্ পরানকে গ্রেফতার করা হয়।
জানাযায়- ডাকাত সর্দার শাহ্ পরান ২০০৬ সালের ৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় ডিবি পুলিশ ২টি পিস্তল ও ১৮ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেফতার করে। বিগত এক যুগে শাহ্ পরানের বিরুদ্ধে কচুয়া থানাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় ও কোর্টে ছিনতাই, ডাকাতি, নারী নির্যাতন ও অগ্নি সংযোগের অভিযোগে বেশ কিছু মামলা দায়ের হয়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য মামলা সমূহ হচ্ছে- চট্টগ্রাম বন্দর থানায় ৩৬/২০০৫ ও ২৮(০৭)/০৮, চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় নং- ৩১৭/২০০৩, চাঁদপুর আমলী আদালতে নং- ১২৭/২০০৬ ও নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে নং- ১৩২/২০০৬ এবং কচুয়া থানার ৪টি মামলা যথা নং- ১৮/২০০৬, ২৩৬/২০০৬, ১২/২০০৬ ও ৩৫/২০০৫।
এদিকে গত দুই-আড়াই মাসের মধ্যে কচুয়া উপজেলার মেঘদাইর, সাচার, নাংলা, দোয়াটী, নয়াকান্দি বাচাইয়া, মনপুরা, বায়েকসহ বেশ ক’টি গ্রামে দুধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব ডাকাতির ঘটনার সাথে গড ফাদার শাহ্ পরান জড়িত থাকতে পারে বলে এলাকাবাসী ধারণা করছে।তারা এত শক্তিশালী কেউ অভিযোগ করতে কচুয়া থানায় আসতে ভয় পায় । পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার শাহ্ পরানকে চাঁদপুরের বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে সোপার্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন জানায়। ডাকাত সর্দার শাহ পরান গ্রেফতার হওয়ায় এলাকার লোকজনরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে। ডাকাত সর্দার শাহ্ পরান গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ না ছাপাতে সাংবাদিকদের গতকাল দিনভর হুমকি-প্রদান করে আসছে।