সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,কুমিল্লা :
সদর ও সদর দক্ষিন পৌরসভা দু’টিকে একত্র করে গঠিত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন আগামী ৫ জানুয়ারী। নির্বাচনে সদর পৌরসভার ১৮ টি ওয়ার্ড ও সদর দক্ষিন পৌরসভার ৯ টি ওয়ার্ড সহ মোট ২৭ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত নতুন এই সিটি কর্পোরেশন।
প্রাচীন জেলা শহর কুমিল্লা অনেক পূর্ব থেকেই উন্নত। সে তুলনায় ২০০৫ সালে গঠিত সাবেক সদর দক্ষিন পৌরসভায় উন্নয়ন বলতে উল্লেখ করার মত কিছুই নেই। এখানে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে হওয়ায় কিছু আবাসিক, বাণিজ্যিক ভবন, হোটেল-রেস্তোরা, ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেছে। তাছাড়া পৌরসভা ভবন ও কিছু বাসাবাড়ি দোকানপাট গড়ে ওঠেছে। উপজেলা ভবন ও পল্লীবিদ্যৎ সমিতি রয়েছে উল্লেখ করার মত।
কিন্তু সাবেক এই সদর দক্ষিন পৌরসভার অংশটি আয়তনের দিক থেকে সাবেক কুমিল্লা সদর পৌরসভার প্রায় দ্বিগুন। কুমিল্লা সদর পৌরসভার আয়তন ছিল ১৭.৯৪ বর্গ কিলোমিটার আর সদর দক্ষিন পৌরসভার আয়তন ৩৫.১০ বর্গ কিলোমিটার। আয়তনের দিক থেকে সদর দক্ষিন প্রায় দ্বিগুন হলেও লোকসংখ্যা সদর থেকে এক তৃতীয়ংশ কম।
বর্তমানে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়দ পদে মোট ৯ জন প্রার্থী। তাদের সকলেই সদরের অংশের। সদর দক্ষিনে রয়েছে ৪৭ হাজার ভোট। কিন্তু এলাকার অধিকাংশ এলাকাই অনুন্নত। দক্ষিনের বাতাবাড়িয়া এলাকার কলেজ ছাত্র রাজু বলেন “আমি বা এই এলাকাবাসী, সিটি কর্পোরেশন এলাকার নাগরিক, আমাদের আগামীতে সকল ক্ষেত্রে কর দিতে হবে। কিন্তু আমাদের এখানে রাস্তা ছাড়া আর কিছুই নাই।
কোন কোন মেয়রপ্রার্থী সদর দক্ষিনের অংশে শিশু পার্ক, স্কুল, কলেজ নির্মাণের প্রতিশ্র“তি দিচ্ছেন। এই এলাকার সাধারণ ভোটাররা সব কিছুর উর্দ্ধে থেকে মেয়র প্রার্থীদের কাছে চাচ্ছেন সমতার ভিত্তিতে উন্নয়ন। সিটি কর্পোরেশন প্রতি বছর যে বাজেট হবে সেটার অর্ধেক উন্নয়ন দাবী করছে দক্ষিনের অনেক ভোটারা। তাদের এই আবদারে মেয়র প্রার্থী কেউই বিরক্ত না। তারা শুনে আগামীতে সমতার ভিত্তিতে উন্নয়নের প্রতিশ্র“তি দিচ্ছেন। এখন অপেক্ষার পাল্ আগামীতে নগর পিতা কিভাবে দু’অংশ উন্নয়নে ধারা বজায় রাখবেন। উল্লেখ্য সদর দক্ষিনের জয়পুর, বাতাবাড়িয়া, জাংগালিয়া, শ্রীবল্লাভপুর, উত্তর রামপুর, দক্ষিন রামপুর, রামনগর, উলুর চর, নোয়াগ্রাম, রসুলপুর,ধনীশ্বর, বাহুবন্ধ,রাজাপাড়া,কাজিপাড়া,চৌয়ারা,মঠপুস্করীনি, ধনাইতরী, দক্ষিন গোপানাথপুর, ইত্যাদি এলাকা একেবারেই কৃষি নির্ভর অঞ্চল।
গতকাল কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থীরা নগরীতে ব্যাপক গনসংযোগ চালায়। আ’লীগ সমর্থিত অধ্যক্ষ আফজাল খান ঝাউতলায় উঠান বৈঠক করেন। এছাড়া তার পক্ষে গনসংযোগ করেন কান্দিরপাড়,রানিরবাজার ও বাগিচাঁগাও, দক্ষিন চর্থা,থিরাপুকুর পাড় এলাকায় তার সমর্থিত নেতা কর্মিরা। সম্মিলিত নাগরিক ফোরামের মনিরুল হক সাক্কু ঠাকুরপাড়া,তালপুকুর পাড়, জিলা স্কুল রোড, নজরুল এভিনিউ, বাদুরতলা, রেসকোর্স কঠের পুল ও কালিয়া জুড়িতে উঠান বৈঠক করেন। জাতীয় পাঠির এয়ার আহমেদ সেলিম কান্দিরপাড়,মুরাদপুর,রাজগঞ্জ, গনসংযোগ করেন। নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম কোটবাড়ী,জয়পুর,মঠপুস্করনী,কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এর আশপাশ এলাকায় গনসংযোগ করেন। এড: আনিসুর রহমান মিঠু অশোকতলা, চকবাজার,বালুধুম, চর্থা, বড় পুকুর পাড়, চৌয়ারা, এবং রাজগঞ্জে গনসংযোগ করেন।