মো. আলী আশরাফ খান
একটু একটু করে বুড়োর শরীরের সব অংশ
অবশ হয়ে আসছে প্রচন্ড শীত-বাতাসের তীব্রতায়,
শৈত্যপ্রবাহ ক্রমশ বেড়ে বেড়ে একসময়
নড়াচড়া বন্ধ অবশেষে জানান দিলেন তিনি নেই।
অজপাড়ায় চাল-চুলো ছিল না এ ভিক্ষুকের,
ঘন কুয়াশা আর শীতের তীব্র দাপটে জবুথবু বুড়ো
সাতদিন খেয়ে না খেয়ে ছিলেন কুড়ে ঘরে।
সর্বশেষে আরেক বুড়ো জানালেন এ মৃত্যু সংবাদ।
পাশের বাড়ির মানুষগুলো ঘুমোয় অট্টালিকায়,
খাওয়া-দাওয়া বিলাসী পোশাকের নেই তাদের কমতী
লেপ তোষক কম্বল বাড়তি বালিশ রুম হিটার,
দামি গাড়ি হাকান যত্রতত্র বড় কথায় গা ভাসান।
দেখে না দেখার ভান করেন দুস্থ পীড়িতদের,
অথচ, এদের নিয়ে রাজনীতির খেলা অবিরাম খেলে
আজ অঢেল টাকা পয়সা যশ-খ্যাতির গড়েছেন পাহাড়!
নিজেদের স্থায়ী মনে করেন যেন তা বাপ-দাদার।
শীত ঝেঁকে বসেছে গ্রাম বাংলার সব জনপদে,
দয়া-মায়া নেই ওই লোমশ বুকে যেন সব সুখ তাদের!
মানবতা কাঁদে গুমরে কাঁদে একটি কম্বল কিংবা
সস্তা শীতের পোশাক সাধ্য নেই তার কাউকে দেবার!
মো. আলী আশরাফ খান, গৌরীপুর, দাউদকান্দি, কুমিল্লা।