কুসিক নির্বাচন : ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনার সাথে প্রতিশ্রুতি দিতে ক্লান্ত প্রার্থীরা

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,কুমিল্লা :

বিএনপি’র বাদপড়া প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু নগরীর হাউজিং এলাকায় গনসংযোগে ব্যস্ত
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আর মাত্র ১৫ দিন বাকী। প্রথম বারের মত এই নগরের পিতা হতে রাত-দিন পরিশ্রম করে চলছেন ৯ মেয়র প্রার্থী। গত তিন দিনের তীব্র শীতে নগরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা ছিল পুরো নগর। সকাল ও গভীর রাতে এক কথায় নির্বাচনী প্রচারনা নেই বললেই চলে। রাত বাড়ার সাথে সাথে প্রার্থীদের নির্বাচনী অফিসগুলোতে কর্মীদের আনাগোনা বাড়লেও অধিকাংশ মানুষই রাত ৮/৯ টার মধ্যে ঘরে ফিরে যাচ্ছে। একান্তই প্রয়োজন ছাড়াই কেউ বাড়ি ঘরের বাহির হচ্ছে না। কুমিল্লায় এ মূহূর্তে মেয়র, সাধারন কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ভোটরদের কাছে যাচ্ছেন। প্রার্থনা করছেন নিজেদের পক্ষে ১টি ভোটের। কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলরা ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রচারনা চালালেও প্রতিটি মেয়র প্রার্থীকে ছুটতে হচ্ছে ২৭ টি ওয়ার্ডে।
নগরীর কান্দিরপাড় এলাকা পোষ্টারে ছেয়ে গেছে
প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে ১টি ভোট চাইলেও প্রার্থীদের কাছে ভোটারদের চাওয়া অনেক। দীর্ঘ প্রায় ১৪৭ বছরের পুরানো সাবেক কুমিল্লা সদর পৌরসভার সমস্যা অনেক। জরাজীর্ন রাস্তঘাট,যানজট, ভাঙ্গা চোড়া ড্রেনেজ ব্যবস্থা, মাদক বিক্রি সহ বিভিন্ন সমস্যায় নগরবাসী বিরক্ত। রাস্তার উপর ময়লা পরিপূর্ণ, ড্রেনের পানিতে রাস্তা সয়লাব, হাত বাড়ালেই মিলে মরন নেশা মাদক হেরোইন,রিকোডেক্স ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন নেশার উপকরন, যুবসমাজ হচ্ছে ধ্বংস। মাদকের অর্থ জোগাতে বাড়ছে চুরি,ছিনতাইসহ নানা অপরাধ । অর্থাৎ বহু সমস্যার আবর্তে নগরবাসী। ফলে মেয়র বা কাউন্সিলর প্রার্থীরা যখনই যাচ্ছে ভোটারদের দুয়ারে তখনই ভোটারদের চাহিদা যেন বেড়ে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ১টি ভোটের জন্য যাচ্ছে আর ভোটারদের দিতে হচ্ছে একাধিক সমন্যা সমাধানের আশ্বাস। এই মূহূর্তে না শোনার উপায়ও নেই। প্রাথীরা বাধ্য হওয়ায় ভোটাররাও যেন আশারবানী শুনে নিজেরা তৃপ্ত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে প্রার্থীরাও উল্লেখিত প্রতিটি সমস্যা সমাধানে ভোটারদের আশ্বাস্থ করছেন। নগরীরর শাসনগাছা এলাকার হুমায়ন বলেন, তাদের এলাকায় কমপক্ষে শতাধিক পরিবার হেরোইন, ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদক বিক্রি করে। প্রতিদিন নগরীরর ও বাহির থেকে শত শত যুবক কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজন আসে মাদক ক্রয়ে। কিন্তু খেয়াল নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তাছাড়া জলাবদ্ধতা,ভাংঙ্গাচোড়া রাস্তা ঘাট কারোই যেন দায়বদদ্ধতা নেই। একই অবস্থা ষ্টেশন রোড, পশ্চিম বাগিচাগাত্ত, চর্থা, গর্জনখোলা, সদর হাসপাতল রোড এলাকায় অর্থাৎ নগরীর অবস্থা বেহাল। প্রতিটি প্রার্থী প্রতিদিন ভোটারদের কাছে প্রতিশ্র“তি দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়লেও কেউই বিরক্ত হচ্ছেন না।

ই-মেইলে ছবি আছে

ছবি ক্যাপশনঃ (১) (২) বিএনপি’র বাদপড়া প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু নগরীর হাউজিং এলাকায় গতকাল বিকেলে গনসংযোগে ব্যস্ত।

Check Also

দাউদকান্দিতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

হোসাইন মোহাম্মদ দিদার :কুমিল্লার দাউদকান্দিতে শান্তা বেগম (২৪) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ...

Leave a Reply