নাজমুল করিম ফারুক, তিতাস :
আজ ১৬ ডিসেম্বর ছোট পর্দায় মুক্তি পাচ্ছে শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘আমার বন্ধু রাশেদ’। বিকাল ২টা চ্যানেল আই’য়ে প্রচাতির হবে চলচ্চিত্রটি। ৬জন কিশোরকে নিয়ে নির্মিত উক্ত চলচ্চিত্রের একজন হলেন তিতাস উপজেলার জগতপুর গ্রামের বর্তমানে রামচন্দ্রপুর অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র লিখন রাহী।
প্রখ্যাত নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম এর পরিচালনায়, প্রখ্যাত শিশু-সাহিত্যিক মুহাম্মদ জাফর ইকবালের কাহিনী অবলম্বনে সরকারী অনুদানে এবং মনন-চলচ্চিত্র ও ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় নির্মিত ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ ৩১ মার্চ দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগ্রহে মুক্তিপায়। গল্পে দেখা যায়, একাত্তরের উত্তাল দিনগুলো যখন ছোট ছেলেরা বুঝতে পারছে না, রাজনীতি সচেতন রাশেদ তখন ঠিক তার মতো করে সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছে। পাকিস্তানী সেনাবাহিনী দেশটির উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। একদিন একটি ছোট শহরেও পাকিস্তানীরা হাজির হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরুতে মুক্তিবাহিনীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে রাশেদ এবং তার সঙ্গে তার অন্য বন্ধুরাও। সম্মুখ সংঘর্ষে বন্দি হয়ে যায় তাদের পরিচিত একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং এক অসাধারণ পরিকল্পনা করে রাশেদ এবং তার বন্ধুরা তাকে মুক্ত করে নিয়ে আসে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে। কিন্তু যুদ্ধের ডামাডোলে রাশেদ আর তার বন্ধুদের একসময় বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে হয়। রাশেদ আরও গভীরভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সব বন্ধু যখন আবার একত্র হয় ছোট্ট শহরটিতে, তারা আবিস্কার করে রাশেদ নামের সেই বিচিত্র ছেলেটি আর বেঁচে নেই।
ছবিটির সম্পর্কে মোরশেদুল ইসলাম বলেন, প্রকৃত অর্থে ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ একটি ছোট ছেলের চোখে দেখা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস। প্রেক্ষাপট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে মফস্বলের একটি ছোট শহর। চরিত্রগুলো হচ্ছে স্কুলের কয়েকজন ছাত্র। মুহম্মদ জাফর ইকবালের এ গল্পটি খুবই মর্মষ্পশী। আমি যত্ম নিয়ে ছবিটি নির্মাণের চেষ্টা করেছি। তবে কাহিনীর প্রয়োজনে মূল গল্পের কাঠামোটা একটু পরিবর্তন করতে হয়েছে।
তিতাসে লিখন রাহি’র পাশাপাশি উক্ত চলচ্চিত্রে আরো যারা অভিনয় করেছেন তারা হলেন, চৌধুরী জয়িতা আফনান, রায়হান ইফতেশাম চৌধুরী, রিফায়েত জিন্নাত, ফাইয়াজ বিন জিয়া, কাওসার আবেদিন, কাজী রায়হান রাব্বি, আরমান পারভেজ মুরাদ, হোমায়েরা হিমু, রাইসুল ইসলাম আসাদ, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, গাজী রাকায়েত, ওয়াহিদা মল্লিক জলি প্রমূখ।
উল্লেখ, লিখন রাহী পত্রিকায় বিজ্ঞাপন থেকে উক্ত চলচ্চিত্রে অভিয়ন করার আগ্রহ প্রকাশ করলে কর্তৃপক্ষ তাকে অভিনয় করার সুযোগ দেয়। সে তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের বাসিন্দা ও জগতপুর সাধনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট ছড়াকার, হস্তাক্ষরবিদ ও ক্রীড়াভাষ্যকার মনির হোসেন মাষ্টারের পুত্র।