কুয়েতে মারা যাওয়া আব্দুল্লাহ ফারুকের লাশ দাফন নিয়ে এলাকায় নানান গুঞ্জন

আলমগীর তালুকদার, কচুয়া :
কুয়েতে মারা যাওয়া আব্দুল্লাহ ফারুকের লাশ কচুয়ার হারিচাইল গ্রামে দাফন নিয়ে বেশ গুঞ্জন উঠেছে। স্ত্রী রাবেয়ার দাবী তার স্বামীর লাশ ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌছার পর বুধবার গ্রামে এনে দাফন সম্পর্কে তাকে কোন কিছু জানানো হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহরাস্তি উপজেলার উপলতা গ্রামের অধিবাসী মাখন লালদে’র ছেলে নারায়ন দে প্রায় ২০ বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী কচুয়া উপজেলার হারিচাইল গ্রামে কাজ করতে এসে ওই গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে আকলিমা আক্তার খোদেজার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরে প্রেমিক নারায়ন দে হিন্দু সম্প্রদায়ের হওয়ায় তাকে মুসলিম রেওয়াজ অনুযায়ী মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে আকলিমার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের পর তাদের গৃহে লিমা (১৫) ও লিনা (৮) নামের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এদিকে আব্দুল্লাহ ফারুক তার স্ত্রী সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সুদূর কুয়েতে পাড়ি জমান। এর ফাঁকে আকলিমা আক্তার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে একজন মহিলা মেম্বার নির্বাচিত হয়। আকলিমা বেগম মহিলা মেম্বার নির্বাচিত হওয়ায় তার স্বামীর সাথে একটু দূরত্ব বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে ২০০৬ সালের দিকে প্রবাসী স্বামী আব্দুল্লাহ ফারুককে সে স্বেচ্ছায় ডিভোর্স দেয় এবং পার্শ¦বর্তী পলিগিরী গ্রামের অধিবাসী আকলিমা ও লিনার সুখের কথা চিন্তা করে এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অনুরোধে আকলিমার ছোট বোন রাবেয়া আক্তারকে বিয়ে করে পুনরায় কুয়েত চলে যায়। এরই ফাকে রাবেয়ার গৃহে লিমন (২) নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।

আব্দুল্লাহ ফারুকের দ্বিতীয় স্ত্রী রাবেয়া আক্তার স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, প্রায় তিন মাস পূর্বে তার স্বামী কুয়েতে মারা যান। পরবর্তীতে অনেক চেষ্টার পর তার লাশ মঙ্গলবার ঢাকা শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌছে। এদিকে তার বড় বোনের জামাই সুচতুর আবুল খায়ের ও আকলিমা বেগমের যোগ সাজোশে তার বড় মেয়ে বুরগী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী লিমা আক্তারকে অভিভাবক সাজিয়ে প্রবাসের কোম্পানীর দেওয়া অর্থকড়ি হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে তার লাশ আবুল খায়েরের বাড়িতে নিয়ে রাখে। বুধবার রাতে আকলিমা বেগম ও তার স্বামী আবুল খায়ের এলাকার কাউকে না জানিয়ে লাশ গোপনে দাফনের চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় রাবেয়া বেগম ও তার ভাইরা বাধা প্রদান করলে পরের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে রাবেয়াদের পারিবারিক গোরস্থানে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করে। এ ঘটনায় আকলিমা বেগম ও তার স্বামী আবুল খায়ের কাউকে না জানিয়ে লাশ দেশে এনে দাফন করার হীন চেষ্টায় স্থানীয় সচেতন লোকজনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টিসহ নানান গুঞ্জন উঠে।

এ ব্যাপারে আবুল খায়ের জানান, লাশ নিতে কেউ না আসায় আমার বাড়ীতে রাখি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে, পরবর্তীতে কোম্পানীর দেয়া টাকা আত্মসাতের কোন প্রকার চিন্তা-ধারণা তার নেই বলেও জানান।

Check Also

যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে : বিএনপি

চাঁদপুর প্রতিনিধি :– চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাধারণ সভায় বক্তারা বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম ...

Leave a Reply