শামীমা সুলতানা :
৩০ নভেম্বর বুধবার রাত আনুমানিক ১০টায় দাউদকান্দির সাবেক পৌর মেয়র ও যুব’লীগ নেতা মোঃ মিলন খন্দকারকে কুপিয়ে হত্যা করে একদল দুস্কৃতিকারী। মিলন মহাসড়কের মেঘনা-গোমতী সেতু টোল প্লাজায় যাওয়ার পথে দুস্কৃতিকারীরা তাকে দোনারচর গ্রামে তার নিজ বাড়ির কাছে বাচ্চু মিয়ার ঘরের উঠোনে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। লোকজন তাকে মূমূর্ষ অবস্থায় স্থানীয় এলহাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মিলনের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে স্থানীয় লোকজন রাতেই সড়ক অবরোধ করলে প্রশাসন সংঘটিত হত্যায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা রাত ১টার দিকে অবরোধ উঠিয়ে নেয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকালে গোমতী সেতুর দক্ষিণ পার্শ্বে বালুমহল নিয়ে আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের কাশেম খন্দকারের ছেলে ফারুক খন্দকার ও মিলন খন্দকারের ভাতিজা আলামিন খন্দকারের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জের ধরে উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আলামিন খন্দকার গুরতর আহত হলে ঢাকায় প্রেরণ করা তাকে। পরে আহত আলামিনের মা পারভীন বেগম বাদী হয়ে ফারুক খন্দকারসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অপরদিকে কাশেম খন্দকার বাদী হয়ে মিলন খন্দকারসহ ১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করলে উত্তেজনা আরো বৃদ্ধি পায়।
মামলা দায়েরের পর মিলন ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিলে রাস্তায় এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। এঘটনায় পুলিশ স্থানীয় দুইজনকে আটক করেছে।