জামাল উদ্দিন স্বপন:
নারী পুরুষের পরকীয়া ও অবৈধ সম্পর্কের খেসারত দিতে হচ্ছে নিষ্পাপ শিশুদেরকে। অর্থ্যাৎ শিশুরা অভিভাবক হীন হয়ে পড়ছে। সারাদেশের ন্যায় চৌদ্দগ্রামেও মাঝে মধ্যে অজানা পাষন্ড দম্পত্তি নবজাতক সন্তানকে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিভিন্ন স্পটে ফেলে রেখে যাচ্ছে। সচেতন মহলের প্রশ্ন, এই সন্তানের মায়েরা নয় মাস গর্ভে রেখে মায়া মহব্বত ভুলে গিয়ে কিভাবে সন্তানকে বিচ্ছিন্ন করছে ? গত ৭ বছরে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার রামরায়গ্রাম, চৌদ্দগ্রাম হাসপাতাল এলাকা, জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের শাটিসক, বাতিসা ইউনিয়নের লুদিয়ারা, চিওড়া ইউনিয়নের শাকচিসহ বিভিন্ন এলাকার পরিত্যক্ত জায়গায় প্রায় ১৫টি নবজাতক পাওয়া গেছে। সাপ্তাহিক চৌদ্দগ্রামসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখারও পরও কি বাবা-মায়ের বুক কাঁপছে না ?
এছাড়াও পরকীয়ার কারণে গৃহবধুরা অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জামানোর কারণে ছোট ছোট শিশুরা অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে সন্তান লালন পালনে মাকেই একমাত্র অভিভাবক বলা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সংসার চালানোর জন্য অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে অনেককে বিদেশে পাড়ি জমাতে হয়। এক্ষেত্রে তারা বাড়িতে রেখে যান তাদের সন্তানসহ স্ত্রীকে। যোগাযোগের জন্য স্ত্রীকে দিয়ে যায় দামী একটি মোবাইল। কিন্তু এই মোবাইল দিয়ে অধিকাংশ প্রবাসীর স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে সেটি অবৈর্ধ সম্পর্কে গড়ায়। এতে সন্তান সম্ভবনা হয়ে পড়লে ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধের মাধ্যমে বাচ্চা খালাস করে পরিত্যক্ত স্থানে ফেলে দেয়। এরকম অসংখ্য অভিযোগ পাওয়ার খবর চৌদ্দগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু ওই নবজাতকের কি দোষ? একবারও কি প্রবাসীর স্ত্রী চিন্তা করেছেন ? এক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবেই এমন ঘটনা বেশি ঘটছে বলে জানা গেছে।