কুমিল্লা, ২৮ নভেম্বর ২০১১(কুমিল্লাওয়েব ডট কম) :
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার না করা এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করে বিএনপি যে চিঠি দিয়েছে, তার জবাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। চিঠিতে বলা হয়েছে, কুমিল্লায় ইভিএম ব্যবহার হবে এবং সেনা মোতায়েন করা হবে না।
রোববার নির্বাচন কমিশনের বিশেষ বাহকের মাধ্যমে চিঠিটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে পাঠানো হয়েছে। দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা।
২২ নভেম্বর বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেয়। চিঠিতে ভোট কারচুপির আশঙ্কা প্রকাশ করে ইভিএম ব্যবহার না করা এবং নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়েছিল।
জবাবে রোববার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাদিক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি কমিশন সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করে আসছে। এর অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একটি ওয়ার্ডে সাফল্যজনকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। এরপর চলতি বছর নির্বাচন কমিশন ইভিএমের ব্যবহার সম্পর্কে পেশাজীবী ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে পরামর্শ করে। এতে অধিকাংশ দল এবং পেশাজীবী সংগঠন সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের আগে স্থানীয় নির্বাচনে তা ব্যবহারের পক্ষে মত দেয়। যে কারণে কমিশন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নয়টি ওয়ার্ডে ইভিএম ব্যবহার করে। এরই মধ্যে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম ও পর্যবেক্ষকেরা দুটি নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রশংসা করে এই পদ্ধতি অব্যাহত রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ইভিএম ব্যবহারের ফলে চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে কারচুপি হয়েছে—এমন অভিযোগ কেউ করেনি এবং এতে কারচুপির কোনো সুযোগও নেই। তাই নির্বাচন কমিশন কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করার নীতিতে অনড় ও আস্থাবান। তা সত্ত্বেও কমিশন মনে করে, বিএনপির আপত্তির বিষয়টি নিয়ে তাদের কারিগরি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কমিশনের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের আলোচনা হতে পারে।
সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিএনপির সহযোগিতা কামনা করে চিঠিতে আরও বলা হয়, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে না বলে কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার মতো কোনো পরিস্থিতি বর্তমানে বিরাজমান নেই।