সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার কালীকচ্ছ ইউনিয়নের গলানিয়া গ্রামে রাতে ঘুমন্ত মায়ের কোল থেকে ১৪ দিন বয়সী এক কন্যা শিশু গায়েব হয়ে গেছে। এলাকার এক জ্বিনের বাদশা বলছেন শিশুটিকে একটি নারী জ্বিন তুলে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
শিশুর পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, গলানিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার রয়েছে তিন কন্যা সন্তান। গত ১৪দিন আগে তার স্ত্রী জাহানারা বেগম আরেকটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। অন্যান্য দিনের মতো সোমবার রাতে শিশু সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন দুলাল ও তার স্ত্রী। রাত অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই ঘরের বাইরে যান। কিছুক্ষণ পর তারা ঘরে ফিরলেও শিশুর দিকে খেয়াল করেননি। গভীররাতে মা জাহানারার ঘুম ভাঙ্গলে দেখতে পান শিশুটি বিছানায় নেই। বাড়ির লোকজন চারিদিকে খুঁজাখুঁজি করেও শিশুটির সন্ধান পাননি। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই তাদের শিশু সন্তান হারিয়ে এখন পাগল প্রায়। দুলালের বোন শানু বেগম গলানিয়া গ্রামের জ্বিনের বাদশা বলে খ্যাত বিরাম আলীর কাছে ছুটে যান। জ্বিনের বাদশা শিশুর পরিবারকে জানায়, শিশুটিকে একটি দুষ্ট নারী জ্বিন নিয়ে গেছে। সে কারো কথা শুনে না। গলানিয়া গ্রামের নাছির মিয়া (৬৩) জানান, আমাদের ধারণা শিশুটিকে কোন ভূত-পেতিœ নিয়ে গেছে। তারা শিশুটিকে মেরে কোথাও ফেলে দিবে। আরিজ মিয়া (৭০) জানান, জীবনে কখনো শুনিনি জ্বিন-পেতিœ শিশু নিয়ে যায়। এলাকার গ্রামপুলিশ (চৌকিদার) মো. শওকত আলী জানান, শিশুটিকে কেউ চুরি করে নিয়ে যেতে পারে। বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে থানায় জানিয়েছি। একই গ্রামের বাসিন্দা জ্বিনের বাদশা পরিচয়দানকারী বিরাম আলী জানান, ১৮ বছর যাবত জ্বিন খাটিয়ে যাচ্ছি। আমার তদবীর ভুল হয় না। জ্বিনেরা শিশুটিকে এখনো পরিস্তানে নিয়ে যাননি। এখনো এলাকাতেই ঘুরাফেরা করছেন। ফিরিয়ে আনার তদবীর অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, বিষয়টি জেনেছি। শিশুর পিতাকে থানায় জিডি করার পরামর্শ দিয়েছি।