ফ্রান্সে বৃহত্তর চট্টগ্রাম পরিষদের অভিষেক ও মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

খালেদ বিন রহমান (প্যারিস থেকে) :

‘আঁরা চাটগাঁইয়া নওজোয়ান’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে অনুষ্ঠিত হলো ফ্রান্স প্রবাসী বৃহত্তর চট্টগ্রাম পরিষদের অভিষেক ও মিলনমেলা, ২০১১। প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড খ্যাত চট্টগ্রামের উন্নয়নের পাশাপাশি সারা দেশের উন্নয়নে প্রবাসীরা গঠনমুলক ভুমিকা ও অবদান রাখার প্রতিশ্র“তির মাধ্যমে এ অনুষ্ঠান হয়।

পরিষদের নব নির্বাচিত সভাপতি মফিজ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম পরিষদের নতুন কমিটির সাধারন সম্পাদক দেবেশ বড়–য়া। প্যারিসের সেন্ট ডেনিস স্যালনস লিবারেশন হলে গতকাল রোববার বিকালে এ অনুষ্ঠান হয়। প্যারিস প্রবাসী চট্টগ্রাম বাসীদের পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের প্রবাসীদের মিলন মেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠানস্থলটি। কানায় কানায় পুর্ন স্যালনস লিবারেশন হলের বাইরেও অনেক বাংলাদেশী অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

ফ্রান্স প্রবাসী বৃহত্তর চট্টগ্রামের এ মিলন মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন অল ইউরোপ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক এম এ গণি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত এনামুল কবীর। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে পুর্ব ঘোষনা দেয়া হলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা. মোঃ আফছারুল আমীন উপস্থিত ছিলেন না। অনুষ্ঠান চলাকালে মন্ত্রী মুঠোফোনে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীদেও উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।

শুরুতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম পরিষদের ২০১১ সালে গঠিত নব নির্বাচিত কমিটির পরিচিতি অনুষ্ঠান হয়। সাধারন সম্পাদক দেবেশ বড়–য়া কমিটির সকল সদস্যকে পরিচয় করিয়ে দেন। নব নির্বাচিত কমিটির সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করান বিদায়ী সভাপতি শরীফ আল মমিন।

দুই পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানের শুরুতে আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৃহত্তর চট্টগ্রাম বিশাল ভুমিকা রাখছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষনা এ চট্টগ্রাম থেকেই আসে। এর আগেও ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের বীর মাস্টারদা সুর্যসেন অস্ত্রাগার লুট করে স্বাধীনতা আন্দোলনকে বেগবান করেছিলেন। এ চট্টগ্রামেই জন্ম নিয়েছেন অপর বিপ্লবী বাঙ্গালী ললনা প্রীতি লতা ওয়াদ্দেদার।

বক্তারা চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সম্পদের বর্ননা দিয়ে বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ;্র সৈকত কক্সবাজার, প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন সহ রাঙ্গামাটি এবং অন্যান্য পর্যটক আকৃষ্ট করার স্থানগুলো সংরক্ষন করা দরকার। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশীদের ও এগিয়ে আসার আহবান জানান বক্তারা।

শুধু চট্টগ্রামই নয় দেশের অন্যান্য অঞ্চলের প্রবাসীদের ও দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, গভীর দেশপ্রেম ও অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়নের মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন হবে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরুর আগে বৃহত্তর চট্টগ্রাম পরিষদের অভিষেক ও মিলন মেলার বিশেষ স্মরনিকা ‘সাম্পান’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এম এ গণি ও বিশেষ অতিথি রাষ্ট্রদুত এনামুল কবীর। স্মরনিকাটির সম্পাদনা করেছেন নিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী হীরা।

মিলন মেলা দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ক্লোজ আপ ওয়ান ২০০৬ এ তারকা নিশীতা বড়–য়া। এছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।

Check Also

রিয়াদে জ্যাবের ‘অমর একুশে’ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ষ্টাফ রির্পোটার :– “অমর একুশের চেতনায় গন মানুষের মনে জেগে উঠুক উজ্জলতা উৎকৃষ্টতা” শীর্ষক আলোচনা ...

Leave a Reply