আরিফুল ইসলাম সুমন, সরাইল :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার প্রায় কোটি টাকার কাজের জমাকৃত দরপত্র সমূহের আজ (বৃহস্পতিবার) ছিল লটারী। কিন্তু কাজ গুলি বাগিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাপা নেতা অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার ছেলে বিদ্যুৎ ১৫/২০ জনের একদল সন্ত্রাসী নিয়ে জেলা এলজিইডি অফিসে লটারী করতে দেননি। উপস্থিত ঠিকাদাররা ক্ষুব্ধ হয়ে এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তাদের লটারী দিতে অনুরোধ করেনে। এসময় এমপি পুত্রের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা ঠিকাদারদের ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়। বিকেলে এমপি পুত্র বিদ্যুৎ সরাইল উপজেলার ঠিকাদারদের এ বিষয়ে আর বাড়াবাড়ি না করতে বলেন। এতে আরো ক্ষুব্ধ হয় স্থানীয় একাধিক ঠিকাদার। পরে তারা উপজেলা এলজিইডি অফিসে তালা দেয়ার প্রস্তুতি নেয়। স্থানীয় প্রকৌশলী আব্দুল বাছির তাদেরকে ক্ষ্যান্ত করেন। এহেন অনিয়মতান্ত্রিক কাজে জেলার ২/১ জন আ’লীগ নেতা জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন ঠিকাদাররা। সরাইল উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল বাছির বলেন, কিছু ঠিকাদারের মাধ্যমে জানতে পারলাম আজকের লটারী জেলা অফিস স্থগিত করেছে। এমনটি ঠিক নয়। পরবর্তীতে লোকজন কাজের দরপত্র ক্রয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। এতে করে সরকারের রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ লটারীর বিষয়টি আমার আওতা বহির্ভূত। জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুসলেহ উদ্দিন বলেন, আমি চট্টগ্রাম আছি। লটারী ছাড়া কাজ দেয়া যায় না। আমি বিষয়টি দেখছি। জেলা এলজিইডি অফিসের সহকারী প্রকৌশলী (সরাইলের দায়িত্বে নিয়োজিত) স ম জিল্লুর রহমান এ কাজটির পুরো অনিয়মের সাথে জড়িত বলে ঠিকাদাররা জানান। জিল্লুর রহমানের ০১৭১৫০৬০৫৬০ এ নাম্বারের মুঠো ফোনে বার বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সমগ্র সরাইলে চলছে নানা গুঞ্জন।