১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচী গ্রহন

লিটন চৌধুরী, ব্রাহ্মনবাড়িয়া :
১১ ডিসেম্বর ব্রাহ্মলবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীকে মুক্তি বাহিনী ও সেনা সদস্যরা যৌথভাবে অস্ত্রের মুখে তাড়িয়ে দিয়ে আশুগঞ্জকে মুক্ত করে। আশুগঞ্জকে মুক্ত করার যুদ্ধে সুসংঠিত নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালিন লেঃ কর্ণেল কে.এম সফিউল্লাহ, লেঃ মোঃ মোর্শেদ ও মেজর নাসিরসহ আরও অনেকে। আশুগঞ্জকে মুক্ত করতে গিয়ে পাক হানাদারদের সাথে যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন সুবেদার মেজর সিরাজুল ইসলাম, ল্যান্স নায়েক আব্দুল হাই, সিপাহি কপিল উদ্দিন প্রমুখ।

১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর থেকে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়। প্রায় ২দিন তুমুল যুদ্বের পর ১০ ডিসেম্বর বিকাল থেকে মুক্তিযোদ্বাদের প্রতিরোধের মুখে পাক সেনারা পালিয়ে যেতে শুরু করে। পাকবাহিনী আশুগঞ্জ থেকে পালিয়ে ভৈরব যাওয়ার পথে মেঘনা নদীর উপর রেল সেতুটির একাংশ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেয়।এতে সেতুটির দুটি স্পেন ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যায়। ১১ ডিসেম্বর রাতে আশুগঞ্জ সম্পূর্ণ শত্রু মুক্ত হয়।

এই দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ শনিবার আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটি দিনব্যাপি বিভিন্ন কর্মসুচী গ্রহন করেছে। কর্মসুচীর মধ্যে সকালে র‌্যালি ও মুক্তিযুদ্বের স্মৃতিচারণ এবং বিকালে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দিনব্যাপি এই আয়োজনে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকি প্রধান অতিথি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ জিয়াউল হক মৃধা, অধ্যক্ষ জোবেদা খাতুন পারুল এমপিসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও জেলা প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারন করবেন।

Check Also

আশুগঞ্জে সাজাপ্রাপ্ত আসামির মরদেহ উদ্ধার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি :– ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মো. হারুন মিয়া (৪৫) নামে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক আসামির ...

Leave a Reply