কুমিল্লা, ০৫ অক্টোবর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম) :
লাকসামে অপরহরণের ২৪ দিন পরও উদ্ধার হয়নি কলেজ ছাত্রী তানজিনা আফরিন লুবনা। সে লাকসাম নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী। গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে শহরের বাইপাস এলাকা থেকে সে অপরিত হয় । এদিকে অপহৃতের পিতা হুমায়ুন কবির মীর্জা মেয়েকে উদ্ধারের জন্য থানায় মামলা করায় অপহরণকারীদের বিভিন্ন হুমকি ধমকিতে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ওই দিন সকালে তানজিনা আফরিন লুবনা বাসা থেকে প্রাইভেট পড়ার জন্য কলেজ এলাকার প্রফেসর কলোনির উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর বাসায় ফিরে আসেনি। নির্দিষ্ট সময়ে বাসায় না ফেরায় খোঁজাখোজির পর তার পিতা জানতে পারেন, ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পর পরই বাসার অদূরে আগে থেকেই অপেক্ষমান একটি সাদা মাইক্রোবাস যোগে ৭/৮ জন লোক জোর পূর্বক তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহরণকারীরা একটি মোবাইল ফোনে অপহৃতের পিতাকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়। পরে অপহৃতের পিতা হুমায়ুন কবির মির্জা লাকসাম থানায় একটি অপহরণের মামলা করেন। লাকসাম থানার ওসি আবু কাশেম চৌধুরী জানান, পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ১জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নবীনগরে অপহরণের ১২ ঘন্টা পর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর এক ছাত্রী অপহরণ হওয়ার ১২ ঘন্টা পর নিজ কৌশলে অপহরণকারীদের হাত থেকে পালিয়ে এসে নিজের জীবন রক্ষা করেছে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের হাতে পৌছে দেয় । ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দুপুরে আদালত পাড়ায়।
জানা গেছে, নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মাইশা সুলতানা মুমু (১৩) তার জে.এস.সি পরীক্ষার ইংরেজি ২য় পত্র পরীক্ষা দিতে বাড়ি থেকে স্কুলে যাওয়ার পথে মুখোশধারী দুইজন মহিলা ক্লোরোফোম জাতীয় ওষুধ দিয়ে অজ্ঞান করে একটি কালো মাইক্রো করে কুমিল্লা নিয়ে যায়। পথিমধ্যে মেয়েটির জ্ঞান ফিরে আসে, তখন সে পুলিশের গাড়ি দেখে চিৎকার দিলে অপহরণকারী দুই মহিলা ও ড্রাইভার মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় মেয়েটি সুকৌশলে পার্শ¦বর্তী একটি বাড়িতে দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে আশ্রয়দাতারা পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রোববার গভীর রাতে তার পরিবারের হাতে পৌছে দেয়। ঘটনার পর থেকে স্কুলগামী মেয়েদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।