মোহাম্মদ আবুল বাসার, চাঁদপুরে, ০৫ অক্টোবর (কুমিল্লাওয়েব ডটকম) :
চাঁদপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে মামলা করায় আসামী পক্ষ বাদীনিকে হয়রানী ও বাদিনীর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাযায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম লাড়–য়া গ্রামের মৃত আঃ গফুর শেখের পুত্র সৌদি প্রবাসী বিল্লাল শেখের স্ত্রী তাছলিমা বেগম বিগত ১০/০৫/২০১০ইং চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ১০ ধারায় মামলা দায়ের করে। মামলা দায়েরের পর উক্ত মোকাদ্দমা বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য চাঁদপুর সিনিয়র জুডিসিয়্যাল ম্যাজিষ্ট্রেট আঃ রহমানের উপর দায়িত্ব ন্যাস্ত হয়। বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট তদন্ত ও সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ যথা নিয়মে তদন্ত দাখিল করে। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী বিজ্ঞ ট্রাইবুন্যাল বিগত ২১/০৭/২০১০ইং তারিখে নারী ও শিশু ১১২/১০ নং মোকাদ্দমার আসামী দেলোয়ার হোসেন শেখের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক বিগত ২৭/০৭/২০১০ইং তারিখে ৪৬২৫/৪ স্মারকে ওরান্টের আদেশ ফরিদগঞ্জ থানায় প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে ফরিদগঞ্জ জিআরও অফিসের প্রসেস নং-১৪৮ তারিখ ৬/৮/২০১০ইং মোতাবেক থানা কং ৫৯৪ ফরিদ উদ্দিন উক্ত ওয়ারেন্টের প্রসেসের কপি গ্রহণ করে। ইতিমধ্যে ফরিদগঞ্জ থানা বিগত ২৬/৮/১০ইং তারিখে উক্ত মোকাদ্দমার আসামী দেলোয়ার হোসেন শেখের মালামাল ক্রোকের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। উক্ত আসামী ফরিদগঞ্জ থানাকে ম্যানেজ করে গ্রেফতার এড়িয়ে বাদিনীকে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি ও হয়রানি করে আসছে। এমনকি বাদীনির পিতাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়। আসামীর অত্যাচারে বাদীনি তার স্বামীর বাড়িতে থাকতে পারছে না। বাদীনি চাঁদপুর আদালতে আসা-যাওয়ার সময় ও আসামী দেলোয়ার তাকে বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করে আসছে। পথে কয়েকবার বেরিকেট দিয়ে বাদীনিকে আহরনের চেষ্টাও চালিয়েছে। এমনি অবস্থায় আসামী দেলোয়ার হোসেন চাঁদপুর সদর উপজেলার বাখরপুর গ্রামের তার নিকট আত্মীয় আমির হোসেন বাধ্য করে বাদীনির পিতা আহম্মদ উল্যাহকে জড়িয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় বিগত ২১/৯/২০১০ইং তারিখে ২৭নং মোকাদ্দমা দায়ের করে। পরবর্তীতে চাঁদপুর চীফ জুডিসিয়্যাল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে উক্ত মোকাদ্দমা জিআর ৩৫৫ সংখ্যায়িত হয়। উক্ত মোকাদ্দমার বাদী, সাক্ষি ও আসামীদের মধ্যে জমি জামা নিয়ে পারিবারিক সমস্যার কারণে থানায় মামলা হয়। এ মামলায় সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ও ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে আহসান উল্যাহ কে ২নং আসামী করা হয়। এ মোকাদ্দমার ঘটনাস্থলে সদর থানার বাখরপুর গ্রামে ২নং আসামী ব্যতিত সকল সাক্ষী ও আসামীদের বাড়ী ঘটনাস্থল বাখরপুরে। অথচ ২নং আসামীর বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে ১০ কি.মি. দুরে ভিন্ন থানায় ফরিদগঞ্জের পশ্চিম লাড়–য়া গ্রামে। শুধুমাত্র নারী নির্যাতন মামলা বাদীনির পিতা হওয়ায় আহসান উল্যাহকে জিআর ৩৫৫/১০ মোকাদ্দমায় আক্রমনমূলকভাবে আসামী করা হয়েছে। এদিকে ওয়ারেন্টের আসামী হয়েও দেলোয়ার হোসেন সর্বত্র প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নারী ও শিশু মোকাদ্দমার বাদীনি তাছলিমা দু’টি কন্যা সন্তান নিয়ে চরম নিরাপত্তা হিনতায় দিন কাটাচ্ছে। আসামী দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতারে প্রশাসনের তড়িৎ হস্তক্ষেপ কামনা করছে ভুক্তভোগী তাছলিমা। আসামী যে কোন সময় বাদীনি তাছলিমার জান-মালের নিরাপত্তায় বিঘœ ঘটানোর আশংকা রয়েছে।
Check Also
যে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে : বিএনপি
চাঁদপুর প্রতিনিধি :– চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাধারণ সভায় বক্তারা বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম ...