
মুরাদনগর উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে চালক হুমায়ুন কবীরকে হত্যা করে সিএনজি নিয়ে উধাও হয়েছে একটি চোরাই চক্র। এ ব্যাপারে অবশেষে শনিবার রাতে ২ জনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপর দিকে কৃঞ্চপুর বাজারে হুমায়ুন কবির হত্যার বিচারের দাবিতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
জানা যায়, সুরানন্ধী গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে ইমরান হোসেন প্রকাশ আবুল (২৮) ও শরমাকান্দা গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (৩৫) বৃহস্পতিবার বিকেলে পান্তি বাজার থেকে সিএনজি চালক হুমায়ুন কবীরকে (১৮) বুড়িচং উপজেলার রামচন্দ্রপুরে যাবার কথা বলে ভাড়া নিয়ে যায়। রাতে বাড়িতে না আসায় আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি পর পরদিন শুক্রবার বিকেলে জানতে পারেন যে, কুমেক হাসপাতাল মর্গে অজ্ঞাতনামা ২ জন পুরুষ লোকের লাম পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে আত্মীয়স্বজনরা হুমায়ুন কবীরের লাশ সনাক্ত করে বাড়িতে এনে স্থানীয় গোরস্তানে দাফন করে ফেলে। কুমিলা সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ জানায়, কোটবাড়ি যাদুঘরের পেছন থেকে হুমায়নের লাশ উদ্ধার করে অজ্ঞাত নামা হিসেবে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ব্যাপারে কুমিলা সদর দক্ষিণ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এ দিকে সিএনজি চালক হুমায়ুন কবীরের লাশের সন্ধান পাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চোরাই গাড়ী চক্রের হোতা সুরানন্ধী গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের ছেলে ইমরান হোসেন প্রকাশ আবুল (২৮) ও শরমাকান্দা গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে আমির হোসেন (৩৫) বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। অপর দিকে সিএনজি চালক হুমায়ুন কবির হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক বিচারের দাবিতে শনিবার সকালে কৃঞ্চপুর বাজারে এলাকাবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (মুরাদনগর সার্কেল) মোহাম্দ আয়ুব ও মুরাদনগর থানার ওসি আমিরুল আলম বিক্ষোভস্থল পরিদর্শন করে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় দেয়ার পরামর্শ দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ব্যাপারে সিএনজি চালক হুমায়ুন কবিরের বাবা মুকবল হোসেন (৫০) বাদী হয়ে ওই ২জন হত্যাকারীসহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েক জনের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ সিএনজি উদ্ধার করতে পারেনি। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আলমগীর হোসেন জানান, সিএনজি উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।