
কুমিল্লার মুরাদনগর থানা পুলিশ পৃথক ৩টি ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী, ৩ মোটর সাইকেল চোর ও একটি চোরাই গাড়ী উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে পৃথক দু’টি মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতার কৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, হোমনা উপজেলার দড়ি ভাষানিয়া গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী হাবিবুর রহমান ওরফে হবুকে (৩৫) মঙ্গলবার সকালে মুরাদনগর উপজেলার নহল চৌমুহনী থেকে এস আই সাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে। সে ২০০৪ সালে হোমনা থানায় দায়েরকৃত এসিড নিক্ষেপ মামলায় তার বিরুদ্ধে ২০০৫সালে এ রায় হয়। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিল।
এ দিকে পাহাড়পুর ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ শিকদারের মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগে সোমবার রাতে এলাকাবাসী ৩ চোরকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। রাতেই এস আই অমর চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বাবুটি পাড়া থেকে আটককৃতদের থানায় নিয়ে আসে। এরা হলেন- একই গ্রামের সাবেক মেম্বার সুলতান খন্দকারের ছেলে শামীম (২৪), আবুল কাশেম মাঝির ছেলে সেলিম (২৪) ও মনিরুল ইসলামের ছেলে আরিফুর রহমান (২২)। রোববার রাতে মোটর সাইকেলটি পাহাড়পুর ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ শিকদারের নিজ বাড়ী থেকে চুরি হলে মঙ্গলবার বিকেলে পাশ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার গুনাইঘর গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়।
অপর দিকে মুরাদনগর উপজেলার করিমপুর গ্রামের মৃত আকমত আলীর ছেলে মানিক মিয়ার মাইক্রোবাস (হাই-এক্স) ছিনতাই করার ৯ দিন পর সোমবার রাতে পুলিশ উদ্ধার করেন। গত ১৫ আগষ্ট ভোর রাতে চালক ও হেলপারসহ যাত্রীদের মারধর শেষে পাচঁপুকুরিয়া গ্রাম থেকে মাইক্রোবাসটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এস আই সাজেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিতাস উপজেলার রঘুনাথপুর থেকে ১৪ লাখ টাকা মূল্যের মাইক্রোবাসটি (চট্রমেট্রো-চ-১১-৩৭৫৫) উদ্ধার পূর্বক থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় পাচঁপুকুরিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফ মেম্বারের ছেলে সালাউদ্দিনসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে মামলা হয়েছে।