ঢাকা, ১৮ জুলাই ২০১০ (কুমিল্লাওয়েব ডটকম) :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, জালেমদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যেতে শুরু করেছে। ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে, নেতাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে ফেরাউন নমরুদও রক্ষা পায়নি, এটা ভুলে যাবেন না। শনিবার বিকালে গ্রেফতারকৃত বিরোধী দলের সকল নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে রাজধানীর মগবাজার আলফালাহ মিলনায়তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগরী সেক্রেটারী এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ এমপির সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগীয় সেক্রেটারী অধ্যাপক তাসনীম আলম, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারী নূরুল ইসলাম বুলবুল ও মাওলানা আবদুল হালিম, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ডাঃ রিদওয়ানউলাহ শাহিদী ও মোহাম্মদ শাহজালাল।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, রিমান্ডের নামে নেতাদের কিছু হলে সকল দায়-দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। তিনি সরকারের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সাবেক এমপি মাওলানা দেলোওয়ার হোসাইন সাঈদী, জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোলা এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, শমসের মবিন চৌধুরী, শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মাহমুদুর রহমানকে নির্যাতন করাটা সরকারের পক্ষে কতটা শোভনীয় ? অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, সরকার অসহিষ্ণু হয়ে প্রতিপক্ষকে দমনের উদ্দেশ্যে অস্বাভাবিক নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। জামায়াত নেতাদের রিমান্ডে নিয়ে ঘুমাতে দেওয়া হয়নি। তাদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়নি। হাইভোল্ট বাতি তাদের মাথার উপর জালিয়ে রাখা হয়। কোন গণতান্ত্রিক সভ্য দেশে রাজনৈতিক নেতাদের এভাবে নির্যাতনের নজির নেই। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিবেশী কারও ইশারায় দেশ চালানো ঠিক হবেনা। নিজেদের চেষ্টা ও মেধায় দেশ চালান।
মুজিবুর রহমান বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার দেশকে একটি কারাগারে পরিণত করেছে। আওয়ামীগের নির্যাতনের ইতিহাস নতুন কিছু নয়। ৭২-৭৫ সালে ৪০ হাজার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনা। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তাদের আচরণ এমন হতে পারেনা। জামায়াতের কারারুদ্ধ নেতাদের মুক্তির দাবীতে আমরা পোষ্টার লাগাবো, লিফলেট বিলি করবো, মিছিল মিটিং করবো, সভা-সমাবেশ করবো এটা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু তা করতে দেওয়া হচ্ছেনা। এর নাম কি গণতন্ত্র? তিনি হুশিয়ার করে দিয়ে বলেন, জুলুমের পরিণতি কখনই ভাল হতে পারেনা। মাওলানা নিজামীকে পুলিশের কাজে বাধা দানের অভিযোগে মামলা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটা পৃথিবীর কেউ বিশ্বাস করবেনা। জামায়াত কোন নিষিদ্ধ সংগঠন নয়। দেশের ৩য় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। সংসদেও প্রতিনিধিত্ব আছে। অতীতেও ছিল।
তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ দমনের উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অন্যায়ভাবে জামায়াত শিবির নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা হয়েছে, রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গাড়ী ভাংচুরের মামলায় জাতীয় নেতাদের এভাবে রিমান্ডে নেওয়ার ইতিহাস পৃথিবীতে নেই। জামায়াত ইসলামী জ্বালাও পোড়াও রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা। শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের পর তা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, সেক্টর কমান্ডার ফোরাম রাস্তায় মানব বন্ধন করতে পারে। ছাত্রলীগ কর্মসূচী পালন করতে পারে, আদালত চত্বরে ছাত্রলীগ মিছিল করতে পারে। অথচ জামায়াত কর্মসূচী দিলেই রাস্তায় নামতে দেওয়া হয়না। মারধর করে রিমান্ডে নেওয়া হয়। তিনি হুসিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন এর পরিণতি ভাল হবেনা। মনে করেছেন রাজবন্দি নেতাদের ওপর জুলুম নির্যাতন করা হলে জামায়াতে ইসলামী আন্দোলন থেকে পিছিয়ে যাবে তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে রাজবন্দি নেতাদের মুক্তি দিন। অন্যথায় দেশবাসীকে নিয়ে দুর্বার গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
Check Also
মিনি ওয়াক-ইন-সেন্টারের মাধ্যমে রবি’র গ্রাহক সেবা সম্প্রসারণ
ঢাকা :– গ্রাহক সেবাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে মোবাইলফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড সম্প্রতি মিনি ওয়াক ...