মো.হাবিবুর রহমান, মুরাদনগর :
মুরাদনগর উপজেলায় গত ৩ মাসে ১৫২ জন যক্ষা রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। ১ হাজার ৩৫০ জনের কফ পরীক্ষা করে তাদেরকে বাছাই করা হয়। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রশিক্ষন কক্ষে জাতীয় যক্ষা নিয়ন্ত্রন কর্মসূচীর উপর ২ দিনের প্রশিক্ষন কর্মশালার শেষ দিনে এ তথ্য পাওয়া যায়। সোমবার উক্ত প্রশিক্ষন কর্মশালার উদ্বোধন করেন সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল মতিন পাটোয়ারী। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা খানের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. সমীর কান্তি সরকার, বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের সার্জন ডা. মাহফুজুল হক, ডা. নজরুল ইসলাম, প্রোগ্রাম অগ্রানাইজার শামছুল হক, ডা. কামাল হোসেন ও জেলা ব্রাক ম্যানেজার ফজলুর রহমান, উপজেলা ম্যানেজার আব্দুস ছামাদ, উপজেলা যক্ষা ও কুষ্ঠ নিয়ন্ত্রন সহকারী মজিবুর রহমান। এতে ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারী, স্যানিটারী পরিদর্শক, ল্যাবরেটরী টেকনিশিয়ান, মেডিকেল এসিস্টেন্ট ও সাংবাদিক অংশ নেয়।
উক্ত প্রশিক্ষনে আরো জানানো হয় যে, প্রতিবছর সারা দেশে ৩ লক্ষ লোক যক্ষা রোগে আক্রান্ত হয়, এর মধ্যে প্রতি ২ মিনিটে ১ জন রোগী আক্রান্ত হয়। প্রতি বছর ৭০ হাজার যক্ষা রোগী মারা যায়, তার মধ্যে প্রতি ১০ মিনিটে মারা যায় ১ জন।
বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন যে, যক্ষা একটি জীবানু ঘটিত রোগ। যা মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক জীবানু দিয়ে হাচিঁ, কাশির মাধ্যমে সংক্রমক হয়ে থাকে। তবে ডটস এর মাধ্যমে স্বপ্লকালীন মেয়াদে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সকল পেশাজীবী লোকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
Check Also
করোনাযুদ্ধে প্রথম জীবন উৎসর্গকারী কনস্টেবল জসিমকে বুড়িচংয়ে সমাহিত
বুড়িচং প্রতিনিধিঃ করোনাযুদ্ধে পুলিশে প্রথম জীবন উৎসর্গকারী কনস্টেবল জসিম উদ্দিনকে (৩৯) কুমিল্লায় সমাহিত করা হয়েছে। ...