স্টাফ রিপোর্টার :
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন গতকাল কোপেনহেগেনের বেলা সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় বারবার বাংলাদেশের কথা উলেল্গখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো দ্বীপরাষ্ট্রগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরম ঝুঁকির মুখে রয়েছে। বাংলাদেশের কৃষকরা কষ্টের মুখে পড়েছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। যুক্তরাষ্ট্র এ লক্ষ্যে অন্যদের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে চায়।
এদিকে সম্মেলনে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস ও অভিযোজন তহবিল নিয়ে উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে মতপার্থক্য নিরসন না হওয়ায় হতাশ বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ আশা করে আজকের মধ্যে প্রত্যাশিত একটি চুক্তি হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কেন্দ্র ‘বেলা সেন্টারে’ এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আমরা অনেক আশা নিয়ে কোপেনহেগেন এসেছি। ওই আশা হলো জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি থেকে বেরিয়ে মানবজাতির জন্য নিরাপদ ভবিষ্যতের আশা। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। এর কারণে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও এটি হুমকি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় এলাকার লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আ ফ ম রুহুল হক।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার লড়াইয়ে সহায়তা করতে অন্যান্য দেশের সঙ্গে একযোগে ২০২০ সাল নাগাদ বছরে ১০ হাজার কোটি ডলার সাহায্য দেওয়ার জন্য কাজ করে যেতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত।
Check Also
করোনাযুদ্ধে প্রথম জীবন উৎসর্গকারী কনস্টেবল জসিমকে বুড়িচংয়ে সমাহিত
বুড়িচং প্রতিনিধিঃ করোনাযুদ্ধে পুলিশে প্রথম জীবন উৎসর্গকারী কনস্টেবল জসিম উদ্দিনকে (৩৯) কুমিল্লায় সমাহিত করা হয়েছে। ...